অর্থনীতি

প্রকল্পে দুর্নীতির আগেই দমন করতে পারে দুদক: ইকবাল মাহমুদ

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) কমপ্লায়েন্স, ইফেক্টিভনেস ও ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের মহাপরিচালক হামিদ শরীফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

ব্যাংকটির অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরার বিষয়ে এ মতবিনিময় সভায় এআইআইবির প্রকল্পে কেউ দুর্নীতিতে জড়িত হলে তাকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাসও দেন দুদক চেয়ারম্যান।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, “প্রতিটি প্রকল্পের উপকারভোগীদের প্রকল্পে সম্পৃক্ত করা গেলে তাদের যেমন মালিকানা সৃষ্টি হয়, তেমনি প্রকল্প টেকসই হয়; অনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সুযোগও হ্রাস পায়।

“টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দুর্নীতির সুযোগ থাকে। তাই প্রত্যেক ধাপেই সতর্ক থাকতে হবে।”

৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত এআইআইবির ছয়টি দেশে নয়টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশেও ব্যাংকটির ২৬২ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলারের তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে।

মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্যান্য দেশের দুনীর্তিবিরোধী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।

তিনি বলেন, “আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের চেষ্টা করছি। চীনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের দিকে দৃষ্টি রাখছি। চীনের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এআইআইবি প্রতিনিধি দলের নেতা হামিদ শরীফ বলেন, এআইআইবির  প্রতিটি প্রকল্প হবে জাল-জালিয়াতি, সম্পদের অপব্যবহার ও দুর্নীতিমুক্ত।

এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, কমিশন এবং এআইআইবি যৌথভাবে কাজ করলে বাংলাদেশে স্বচ্ছভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক মো. মঈদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী ও এআইআইবির সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট স্পেশিয়ালিস্ট হংলিং ইয়ং, সিনিয়র ফাইনান্স স্পেশিয়ালিস্ট হিয়ান ওয়াং উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT