অর্থনীতি

অকার্যকর সার্কের ‘বিকল্প বিবিআইএন’

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিমরায়হান বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সার্কের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চীন এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসারের ক্ষেত্রে বিবিআইএন একটি ‘প্রবেশদ্বার’হিসেবেকাজকরতেপারে।”

এবছর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ইসলামাবাদে হওয়ার কথা থাকলেও কাশ্মির নিয়ে পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যে তা পণ্ড হয়ে গেছে। বাংলাদেশও পাকিস্তানে শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আপত্তি জানিয়েছিল।

সার্ক সম্মেলন না হওয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে, তা এড়াতে বিবিআইএন নিয়ে এগোনোর পরামর্শ সেলিম রায়হানের।

“হাত গুটিয়ে বসে থেকে আমরা কোনোভাবেই ‘এফোর্ট’ করতে পারব না।  এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ হবে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বিবিআইএন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।”

সার্ক সম্মেলন স্থগিতের প্রেক্ষাপটে ঢাকায় ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশকে সার্কের কথা ভুলে গিয়ে বিমসটেকের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে বিবিআইএন গঠিত হয়। একই বছর বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে গঠিত হয় বিমসটেক জোট, যার সদরদপ্তর ঢাকায়।

সেলিম রায়হানমনে করেন, বিবিআইএন কিংবা বিমসটেক কখনোই সার্কেরবিকল্পহতেপারেনা।

তবে যতদিন সার্ক কার্যকর না হয়, ততদিন উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ তার।

দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশগুলোর রপ্তানি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের অভাবসহ ভারতের বাজারে বিদ্যমান বিভিন্ন বাধা ও সমস্যা নিরসনেরউপর জোর দেন।

একটি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম ২০০৭ সালে ঢাকায় যাত্রা শুরু করে। সানেম গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মত বার্ষিক ইকোনমিস্ট’সকনফারেন্স আয়োজনকরে, যাতেদক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদরা অংশ নেন।

SCROLL FOR NEXT