অর্থনীতি

খিলগাঁওয়ে হবে বড় পয়ঃশোধনাগার 

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

এজন্য খিলগাঁওয়ের গজারিয়ায় তিন হাজার ৩১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটিসহ মোট ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের ছয় হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে প্রায় ৩ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ২ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকার যোগান পাওয়া যাবে।

প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার কদমতলী থানাধীন পাগলায় অবস্থিত পয়ঃশোধানাগারের মাধ্যমে ঢাকা মহনগরীর ২০ শতাংশ জনগণকে পয়ঃসুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

ক্রমবর্ধমান রাজধানীবাসীর উন্নত পয়ঃসুবিধা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা ওয়াসা সম্প্রতি ১১টি পয়ঃশোধানাগার নির্মাণের সুপারিশ করেছে।

প্রথম পর্যায়ের ঢাকার মধ্যে পাগলা, দাশেরকান্দি, উত্তরা, মিরপুর ও রায়েরবাজারে পয়ঃশোধনাগার স্থাপন করা হবে। এর অংশ হিসেবে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

এই পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভার, টঙ্গি, কেরানীগঞ্জ, ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় আরো ছয়টি পয়ঃশোধানাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া ৫০০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার স্থাপনের জন্য গজারিয়া মৌজায় ৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি পয়ঃলিফটিং স্টেশন নির্মাণ এবং একটি করে জিপ ও ডাবল কেবিন পিক আপ ও পাঁচটি মোটরসাইকেল কেনা হবে।

সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ৪৬২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প এলাকার দ্বিতীয় ব্লকের ভূমি উন্নয়ন’ প্রকল্প, ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় সমন্বিত পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা-২য় পর্যায়ের প্রকল্প, ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার  ‘বাংলাদেশ মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক প্রকল্প’ এবং ‘বেগুনবাড়ি খালসহ হাতিরঝিল এলাকার সমমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

হাতিরঝিল এলাকার সমমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পটির ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার ব্যয় অপরিবর্তিত রেখে মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়ে ২০১৭ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে বলে জানান মন্ত্রী।

SCROLL FOR NEXT