)
চট্টগ্রাম

নদী-খাল ভরাট, মাঠ বেদখল: চট্টগ্রামের মেয়রের কণ্ঠে হতাশা

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

একের পর এক খাল ও নদীর তীর ভরাট ও খেলার মাঠ বেদখল হয়ে যাওয়ার হতাশা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি কর্ণফুলী নদী ও খালগুলোকেও রক্ষার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

বুধবার নগরীর ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের পাঠানিয়াগোদা সড়কের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মেয়র।

রেজাউল বলেন, “বাকলিয়া থেকে মোহরা-চান্দগাঁওসহ চট্টগ্রামের নিচু এলাকাগুলোর মানুষ জলাবদ্ধতা সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে চট্টগ্রামবাসীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করছেন। তবে, অসচেতন আচরণের কারণে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

“অনেকে আবার খালের জায়গা ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এভাবে আমাদের নদী-খাল মেরে ফেললে কোন প্রকল্পই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”

নদী দূষণ নিয়েও আক্ষেপ করেন মেয়র। বলেন, “এক সময় কর্ণফুলী নদী, চাক্তাই খালসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক জলাধারে মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু, দখল-দূষণে এখন মাছ তো দূরের কথা, এগুলোর পানি মানুষের শরীরে লাগলে চর্মরোগ হচ্ছে।”

খেলার মাঠ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের খেলার মাঠগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আমরাই সুন্দর চট্টগ্রামকে হীনস্বার্থে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলছি। সরকার কাজ করছে তবে সরকারের কাজকে সাফল্যমমণ্ডিত করতে হলে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।”

নিচু সড়কের কারণে চান্দগাঁও এলাকাবাসী কষ্ট পাচ্ছে জেনে সে সড়কে আধুনিকায়ন করার কথাও বলেন রেজাউল। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা কমবে বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রাম নতুন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি সব কাঁচা সড়ক পাকা করার ঘোষণাও দেন মেয়র।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, এসরারুল হক, সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম চৌধুরীসহ কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT