চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাসে স্থবির পিবিআই চট্টগ্রামের কার্যক্রম

Byউত্তম সেন গুপ্ত

এ ইউনিটের প্রধানসহ ১৫ জন সদস্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশের তদন্তকারী এই ইউনিট এখন শুধু ‘রুটিন কাজ’ করছে।

২০১৬ সালে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায় চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামালার রহস্য উদঘাটনে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে এ ইউনিট।

বর্তমানে নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলাসহ বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তের দায়িত্বে আছে পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিট।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, এ ইউনিটে বর্তমানে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১৩ জন পরিদর্শক, আটজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ ৪১ জন কর্মরত রয়েছেন।

তাদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। আরও ১৭ জন নমুনা পরীক্ষা করাতে দিয়ে প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছেন।

আক্রান্তরা আইসোলেশনে এবং নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া সদস্যরা কোয়ারেন্টিনে আছেন। ৩২ জন সদস্য আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে থাকায় বাকিরা পালা করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাঈনুদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বাদী-বিবাদীরাও কম আসছেন। তার ওপর আবার অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। এতে স্বাভাবিকভাবে কাজে একটু ব্যাঘাত ঘটছে।”

পিবিআই সদস্যদের মধ্যে যারা পরীক্ষা করাতে দিয়েছেন তাদের অনেকেরই তেমন কোনো উপসর্গ নেই জানিয়ে মাঈনুদ্দীন বলেন, “রিপোর্ট না পাওয়ায় তাদের পজিটিভ-নেগেটিভ বলা যাচ্ছে না। আমিসহ আক্রান্তরা সবাই সুস্থ হওয়ার পথে।”

মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর গত ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত একজন কনস্টেবলের কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এরপর গত আড়াই মাসে চট্টগ্রামে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আড়াইশ সদস্য কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত পাঁচজন।

তবে অসুস্থদের মধ্যে কেউ কেউ সুস্থ হয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।

SCROLL FOR NEXT