চট্টগ্রাম

বিমানবন্দর সড়কে দুটি গরুর হাট না বসাতে চট্টগ্রামের মেয়রকে চিঠি

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

ইতোমধ্যে এ দুটি হাটসহ নগরীর স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা আহ্বান করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

নগরীতে সিটি করপোরেশন অনুমোদিত দুটি গরুর বাজার আছে। সেগুলো হলো- সাগরিকা গরু বাজার এবং বিবিরহাট গরুর বাজার।

এছাড়া প্রতিবছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরীর নুর নগর হাউজিং, স্টিল মিল বাজার, সল্টগোলা ক্রসিং, পতেঙ্গা হাইস্কুল মাঠ এবং কমল মহাজন হাট এলাকায় ১০ দিনের জন্য অস্থায়ী গরুর বাজার ইজারা দেওয়া হয়।

নগর পুলিশের বিশেষ শাখার পক্ষ থেকে সিটি মেয়র বরাবর দেয়া চিঠিতে সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন স্থান এবং স্টিল মিল অস্থায়ী পশু বাজার ইজারা না দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, সল্টগোলা রেল ক্রসিং নামে যে বাজার ইজারা দেয়া হয় সেটি মূলত ইপিজেড থানা সংলগ্ন লেবার কলোনি মাঠে বসত। ওই মাঠে বন্দরের ওভারফ্লো কনটেইনার টার্মিনাল নির্মিত হওয়ায় সেখানে বাজার বসার মতো স্থান নেই।

স্থানটি চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন হওয়ায় বিমানবন্দর সড়কের ওই অংশে দিন-রাত ট্রাক, কভার্ড ভ্যান এবং লং ভেহিক্যাল চলাচল করে। এছাড়া সিইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেডের প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই রাস্তার উপরে বাজার বসানোর অনুমতি দিলে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে এবং ইপিজেডগামী শ্রমিক ও বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা অসুবিধায় পড়বেন।

স্টিল মিল বাজার এলাকায় পশুর হাট বসানোর বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ কাজের কারণে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাঠগড় পর্যন্ত ১৩ মিটার টিনের ঘেরা দিয়ে বন্ধ করা আছে।

“এই টিনের ঘেরার দুই পাশে এক লেনে একটি করে গাড়ি আসা-যাওয়া করতে পারে। পশুর বাজার বসানোর জায়গা স্টিল মিল বাজারের পাশে অবশিষ্ট নেই এবং রাস্তার আশেপাশে কোনো খোলা মাঠও নেই।”

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবু বক্কর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় হওয়া যানজট এবং হাট বসালে যে জনভোগান্তি হবে তা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ শাখা থেকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিমানবন্দর সড়কে জলাবদ্ধতা ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ির ধীরগতির কারণে সৃষ্ট যানজট কয়েকদিন স্থায়ী হয়। এ যানজট নগরীর অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে সিসিসি’র ভারপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিএমপি একটি চিঠি দিয়েছে।

“জনভোগান্তি হয় এরকম কিছু আমরা করব না। মেয়র মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কোনো ধরনের জনভোগান্তি না হয়, সেটা নিশ্চিত করে তারপর পশুর বাজার ইজারা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

SCROLL FOR NEXT