সোমবার তিনি চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মীর রুহুল আমিন তা মঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০০৭ সালে ডবলমুরিং থানায় বদির বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন স্থগিত থাকে।
এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে আসামিকে এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
সে অনুসারে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক সাংসদ বদিকে ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানান আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
২০০৭ সালে ১৭ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালিন উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ নগরীর ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করেন।
কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা বদির বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয় মামলার এজাহারে।
একই ধরনের অভিযোগে ২০১৪ সালে ঢাকায় দুদকের দায়ের করা এক মামলায় গতবছর ২ নভেম্বর সাংসদ বদিকে তিন বছরের সাজা দেয় বিশেষ জজ আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে তিনি গত ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।