বিশ্বকাপ

‘পাঁচ ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়’

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপের প্রাথমিকপর্বে আর তিনটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশ দলের। আগের পাঁচ ম্যাচে জয় এসেছে দুটিতে, হার তিনটি। একটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে সামনের তিনটি ম্যাচকে কার্যত বলা যায় নক আউট ম্যাচ।

রোডস সেই বাস্তবতা জানেন। তবু স্বপ্ন দেখার কমতি নেই। বরং পরের দুটি সত্যিকারের নকআউট ম্যাচকেও জুড়ে দিলেন নিজেদের এগিয়ে চলার স্বপ্নে।

“আমরা জানি, এই বাংলাদেশ দল... যারা দেখেছি, আমরা জানি, ভেঙে ভেঙে যদি ধরি, সামনের প্রতিটি ম্যাচ যদি আমরা জিতি, আমাদের স্রেফ আর পাঁচটি জয় দরকার। জিতলেই আমরা বিশ্বকাপ জিতে যাব! প্রতিটি ম্যাচকে নকআউট ম্যাচ ধরে নিলে, এভাবে ভাবা হতে পারে একটি পথ।”

কাজটা যে খুব কঠিন, সেটাও বললেন রোডস। এই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তুলনামূলক সবচেয়ে সহজ প্রতিপক্ষকেই সবার আগে সামনে পাচ্ছে বাংলাদেশ। সোমবার সাউথ্যাম্পটনে লড়াই আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে সহজ প্রতিপক্ষও হবে আসলে অনেক কঠিন, ধারণা কোচের।

 “আফগানিস্তান কঠিন প্রতিপক্ষ। শক্ত মানসিকতার ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ভারতের সঙ্গে তুমুল লড়াই করেছে ওরা। ওদের প্রতি আমাদের দারুণ সমীহ আছে। গত এশিয়া কাপে আমাদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পেরেছিলাম।”

“আমরা জানি কালকে কঠিন একটি ম্যাচ অপেক্ষায়। আমরা ওদের সমীহ করছি তবে ভয় পাচ্ছি না। আমরা যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী ও বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছি। কালকে থেকে যদি একটির পর একটি ম্যাচ জিততে থাকি... কে জানে!”

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত এশিয়া কাপেও চিত্র অনেকটা ছিল একইরকম। ফাইনালে উঠতে হলে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে পরপর হারাতে হতো বাংলাদেশকে। এবারও বাংলাদেশের জন্য লড়াইটা একরকম এশিয়া কাপই। আফগানিস্তানের পর ম্যাচ ভারতের সঙ্গে, প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে।

সেবার চ্যালেঞ্জ জিতে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার? কোচ প্রেরণা নিচ্ছেন এশিয়া কাপ থেকে।

“এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা প্রেরণা নিতে পারি। দারুণ একটি উদাহরণ সেই টুর্নামেন্ট, আমরা প্রায় কাছাকাছি চলেই গিয়েছিলাম। শেষ বলে আমরা প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম। এবার দেখা যাক...!”

SCROLL FOR NEXT