ক্রিকেট

সাকিবকে ছেড়ে দিল কলকাতা, মুস্তাফিজকে রাজস্থান

Byস্পোর্টস ডেস্ক

ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর একে একে আট ফ্র্যাঞ্চাইজির ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

গত আসর থেকে প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সর্বোচ্চ চার জন খেলোয়াড় (সর্বোচ্চ দুজন বিদেশি) ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা ধরে রেখেছে সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, বরুন চক্রবর্তী ও ভেঙ্কাটেশ আইয়ারকে।

রাজস্থান একজন বিদেশিসহ ধরে রেখেছে তিন জনকে- সাঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার ও যাশাসবি জয়সওয়াল।

আইপিএলে সাকিবের প্রথম দল ছিল কলকাতা। ২০১১ থেকে টানা সাত মৌসুমের ছয়টিতে খেলেছিলেন এই দলে। কলকাতার দুটি শিরোপা জয়ের অংশ ছিলেন তিনি। পরে তাকে ছেড়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০১৮ আইপিএলের আগে তাকে ২ কোটি রুপিতে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে খেলেন তিনি দুটি আসরে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না ২০২০ আসরের নিলামে।

গত আইপিএলে নিজের পুরনো ঠিকানায় ফেরেন তিনি। নিলামে বাংলাদেশের অলরাউন্ডারকে তিন কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল কলকাতা। ভারতে কোভিডের কারণে মাঝপথে টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার আগে তার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। তিনটি ম্যাচ খেলে করতে পারেন কেবল ৩৮ রান, ওভারপ্রতি আটের বেশি রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পুনরায় আসর মাঠে গড়ানোর পর শুরুতে অনেক ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকলেও ফাইনালের আগে শেষ চার ম্যাচে খেলেন সাকিব। সেখানে তুলনামূলক ভালো করেন তিনি। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যায় কলকাতা।

আর মুস্তাফিজকে গত আইপিএলের নিলামে ১ কোটি রুপিতে দলে নিয়েছিল রাজস্থান। আরব আমিরাতে দলের সাত ম্যাচেই খেলেন তিনি। উইকেট নেন ৬টি। সব মিলিয়ে আসরে ১৪ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৮.৪১ রান দিয়ে বাঁহাতি এই পেসারের উইকেট ছিল ১৪টি।

২০১৬ আসর দিয়ে মুস্তাফিজের আইপিএল অভিষেক। ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে সেবার তাকে দলে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম আসরেই বাজিমাত করেন তিনি দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখে। ওভারপ্রতি সাতের কম রান দিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে আসরের ‘ইমার্জিং প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি।

পরের আসরে হায়দরাবাদের হয়ে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। পরে তাকে ছেড়ে দেয় তারা। ২০১৮ আইপিএলের নিলামে ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের সফলতম দলটির হয়ে ৭ ম্যাচে ওভারপ্রতি সাড়ে ৭ করে রান দিয়ে তার উইকেট ছিল ৭টি।

SCROLL FOR NEXT