ক্রিকেট

আচ্ছন্ন মেয়ার্স, খুশিতে ভাসছেন ব্র্যাথওয়েট

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ দিনে সতীর্থদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অবশ্য তিনিও আচ্ছন্ন হয়েছিলেন, একবারও ওঠেননি নিজের জায়গা ছেড়ে।     

দুটি উইকেটশূন্য সেশনের পর তিনটি ফলই ছিল সম্ভাবনাময়। যে কোনো এক দলের জয় কিংবা ড্র। সম্ভাবনায় যেটি সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল- ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়-সেটিই হলো মেয়ার্সের বীরত্বে। অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংসে চট্টগ্রাম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের মহাকাব্যিক জয়ের নায়ক তিনি। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি।

দলের জয়, নিজের অর্জন; সব কিছুই অবিশ্বাস্য লাগছে মেয়ার্সের। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেও যেন কাটছিল না তার ঘোর।

“আমার মনে হয় না, খেলায় কী ঘটেছে সেটা আমি ঠিক আঁচ করতে পেরেছি। ম্যাচের পরে এখন সবকিছুই ঘোলা লাগছে। আমি সত্যি ব্যাখ্যা করতে পারব না। সতীর্থ ও কোচরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।”

“আমরা ড্রেসিং রুমে ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছি। সেখানে অভিষিক্তদের অভিনন্দন জানানো হয়। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, কী করে ফেলেছি। আশা করি, কাল যখন ঘুম থেকে উঠব, তখন বুঝতে পারব।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের ভিত গড়ে দেয় অভিষিক্ত এনক্রুমা বনার ও মেয়ার্সের ২১৬ রানের জুটি। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড এটি। দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের জুটির বিশ্বরেকর্ডে এই জুটি আছে দুইয়ে।

দিনের প্রথম দুই সেশনে দলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি এই দুইজন। দলকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়েছেন লক্ষ্যের দিকে। আর তাতে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা বেড়েছে ক্যারিবিয়ান শিবিরেও।

ম্যাচ শেষে ব্র্যাথওয়েট জানান, অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট দল।

“আমরা ড্রেসিং রুমে জয় উদযাপন করেছি। কাইলের অর্জন অসাধারণ। অভিষিক্তদের নিয়ে আমরা সত্যিই খুশি। টেস্ট জয় কখনোই সহজ নয়। আমরা এটি উপভোগ করেছি। দ্বিতীয় টেস্টের কাজ বাকি আছে এখনও।”

SCROLL FOR NEXT