ক্রিকেট

আরিফুলকে শেষ ওভারে বোলিংয়ে আনার ব্যাখ্যা মাহমুদউল্লাহর

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ডিফেন্ড করার জন্য ১৮ রান পেয়েছিল খুলনা। বিশেষজ্ঞ বোলারদের ওভার শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এদিন বোলিং করানো পল স্টার্লিং, দাভিদ মালানকে শেষ ওভারে আনেননি অধিনায়ক। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো বল হাতে পান আরিফুল।

এই অলরাউন্ডারের ওভার থেকে ৩ ছক্কায় আসে ১৮ রান। প্রথমবারের মতো বিপিএলে সুপার ওভারে গড়ায় কোনো ম্যাচ। সুপার ওভার রোমাঞ্চে হেরে যায় খুলনা। সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানান, তিনি ভেবেছিলেন আরিফুলের ওয়াইড ইয়র্কার কার্যকর হতে পারে শেষ ওভারে।      

“ওই সময় অফস্পিনটা হয়তো একটু কঠিন হতো। শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল ওদের, আমি ভেবেছিলাম আরিফুল ভালো অপশন। ও হয়তো ওয়াইড ইয়র্কার করবে। কিন্তু হয়নি দুর্ভাগ্যবশত।”

টানা চার ম্যাচ হেরে ভীষণ হতাশ মাহমুদউল্লাহ। চিটাগংয়ের বিপক্ষে দুটি সুযোগ হাতছাড়ার আক্ষেপ ঝরেছে তার কণ্ঠে।

“দুইটা সময় আমাদের ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা দুইবারই সুযোগটা হারালাম। শেষ ওভারে ১৯ রান ডিফেন্ড করা আমাদের উচিত ছিল। সুপার ওভারেও ১২ রান চেজ করা উচিত ছিল। সুপার ওভারে ১১ রান বড় কোনো লক্ষ্য না। কিন্তু আমরা পারিনি।”

“এখন আমাদের জন্য টুর্নামেন্ট কঠিন হয়ে গেছে। পরের ৮ টা ম্যাচের মধ্যে আমাদের ৫ থেকে ৬ টা ম্যাচ জিততেই হবে। এটা অনেক কঠিন। দলের প্রতি আমার বার্তা থাকবে টুর্নামেন্টে বাকি আট ম্যাচের কথা চিন্তা করে খেলে লাভ নেই। আমাদের একটা একটা করে ম্যাচের কথা চিন্তা করে খেলতে হবে।”

“আমি আজকের ম্যাচেই বলছিলাম, একটা জয় আমাদের দলকে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা যেভাবে খেলছি, তার চেয়ে আরও অনেক ভালো দল আমরা। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিং , ফিল্ডিং কোনো বিভাগে আমরা তেমন আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছি না।”

এমনিতে ঠাণ্ডা মাথার অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত মাহমুদউল্লাহ। মাঠে খুব একটা আবেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় না তাকে। চিটাগংয়ের বিপক্ষে এক পর্যায়ে পেসার শরিফুল ইসলামের ওপর ক্ষেপে যেতে দেখা যায় তাকে। ম্যাচ শেষে অধিনায়কের উপলব্ধি, অমন প্রতিক্রিয়া ঠিক হয়নি।

“আজকে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কাজটা উচিত হয়নি। এটা হয়তো খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলে। চেষ্টা করবো পরবর্তী সময়ে ঠাণ্ডা থাকার।”

SCROLL FOR NEXT