ক্রিকেট

ওভারে ছয় ছক্কায় রেকর্ড বইয়ে হোয়াইটলি

Byস্পোর্টস ডেস্ক

রোববার ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এই কীর্তি গড়েছেন হোয়াইটলি। ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে অবশ্য জেতাতে পারেননি উস্টারশায়ারকে। এক ওভারে ৩৭ রানের পরও হোয়াইটলির দল হেরেছে ৩৭ রানে।

হেডিংলিতে ডেভিড উইলির ৫৫ বলে ১১৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ইয়র্কশায়ার তুলেছিল ২৩৩ রান। উস্টারশায়ার তুলতে পারে ১৯৬।

উস্টারশায়ারের ওপেনার জো ক্লার্ক করেছেন ৩২ বলে ৫১। পাঁচে নেমে হোয়াইটলি ফিরেছেন ২৬ বলে ৬৫ করে। ৮ ছক্কার ইনিংসে এক ওভারেই মেরেছেন ৬টি ছক্কা।

ইনিংসের সেটি ১৬তম ওভার। ঝড় বয়ে যাওয়া বোলারের নাম কার্ল কারভার। টানা চারটি ছক্কা হজমের পর তরুণ বাঁহাতি স্পিনার পঞ্চম বলটি করেন ওয়াইড। পরের দুই বলে হোয়াইটলি মারেন আরও দুটি ছক্কা।

স্বীকৃত ক্রিকেটে ওভারে ছয় ছক্কার ষষ্ঠ ঘটনা এটি। প্রথম মেরেছিলেন স্যার গ্যারি সোবার্স। ছয় ছক্কার সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ সেটি। ১৯৬৮ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে সোবার্স ছয় ছক্কা মেরেছিলেন গ্ল্যামরগনের বাঁহাতি স্পিনার ম্যালকম ন্যাশের বলে।

১৯৮৫ সালে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনার তিলক রাজের বলে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন রবি শাস্ত্রি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছয় ছক্কা প্রথম দেখেছে হার্শেল গিবসের ব্যাটে; ২০০৭ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ওই বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা মারেন যুবরাজ সিং।

হোয়াইটলির আগে সবশেষটি ছিল ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টেই। ২০১৩ সালে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে মেরেছিলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের জর্ডান ক্লার্ক।

ঝড় তুলে হোয়াইটলির কণ্ঠে ছিল বোলারের জন্য সহানুভূতি।

“এভাবে ব্যাট করার উপযুক্ত সময় ছিল তখন। আমি ঠিক করেছিলাম, গিয়েই মারতে হবে। প্রথমটি মাঝ ব্যাটে লাগার পর চালিয়ে যেতে চেয়েছি। কখনোই ভাবিনি পেশাদার ক্রিকেটে এমন কিছু করতে পারব। বোলারের ভাগ্য খারাপ, লেগ সাইডে সীমানা ছোট ছিল।”

SCROLL FOR NEXT