বাণিজ্য

অবরোধেও খুচরা বাজার ‘স্থিতিশীল’

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শাক-সবজির দাম শীত মৌসুমে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও অবরোধের কারণে বাড়বে বলে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা ঘটেনি।

বরং অবরোধের মধ্যে পণ্য পরিবহন বর্ধিত খরচ মিটছে বাস্তবে দাম নিয়ে কৃষকদের আপসের ফলে, যাতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উৎপাদকরা।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দোকানগুলোতে সব ধরনের শীতের সবজিতে ভরা দেখা গেছে।

বাজার ও মানভেদে ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; বাধাকপিও বিক্রি হচ্ছে একই দামে।

প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, শিম ৪০ টাকায় ও বেগুন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতিটি লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা; পালং শাক ও লাল শাক প্রতি আটি ৩ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শীত মৌসুমের শুরুতেও এসব পণ্যের দাম এরকমই ছিলো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে পেঁয়াজের।

দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকায়।

শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ৎ বণিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বেশি ভাড়া দিয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।

কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পণ্য সরবরাহ কমপক্ষে ২০ ভাগ কমেছে। ধরেন, আগে যেখানে প্রতি রাতে ১০০ ট্রাক আসতো এখন সেখানে আসতে ৬০টি থেকে ৮০টি। তাহলে দাম কি হবে আপনি বলেন।

“আবার এসব ট্রাকের ভাড়া এখন ডাবল। তাতে দাম একটু বাড়ছে। যতটা বাড়ার কথা ছিলো ততটা বাড়েনি। কারণ কৃষকদের থেকে কম দামে কিনতে পারছে।”

মুগদা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা রেজাউল করীম বলেন, “দাম বাড়েনি। বরং বলা যেতে পারে এই সময়ে যেটা কমার কথা ছিলো তা কমেনি।”

বিভিন্ন জাতের ও মানের চাল ৩৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। বিশেষ করে প্যাকেটজাত আটা-ময়দার দাম বেড়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত আটা ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে। আর ময়দা ৩৬ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে।

খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, পাম অয়েল ৬৫ টাকা, সুপার পাম অয়েল ৭০ টাকা, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১০৫ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৪৯৫ থেকে ৫১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, নেপালী ডালও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তুরস্কের বড় দানার ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর অ্যাংকর ডাল ৪০ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে।

রুই মাছ ২০০ থেকে ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, খাসির মাংস ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগী ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। ৫ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ চলছে। এর পাশাপাশি রয়েছে হরতালও।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের অবরোধের মধ্যে সারা দেশে শতাধিক যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন অন্তত ৪০ জন।

এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে।

SCROLL FOR NEXT