বাণিজ্য

অসহযোগিতার ফল সুখকর হবে না: চালকল মালিকদের খাদ্যমন্ত্রী

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

আগে ঘোষিত দামেই ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে কোনোভাবেই দাম বাড়ানো হবে না।

বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের অসহযোগিতা এবং অতি লোভের কারণে যদি সরকারকে আমদানিতে যেতে হয় তাহলে আপনাদের জন্য তা সুখকর হবে না।”

চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিকটন বোরো ধান-চাল কিনবে সরকার। ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গরিমসি করে সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি করেছেন।

তাদের সময় মত সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তি মোতাবেক সঠিক সময়ের মধ্যে চাল দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

“কোনোভাবেই সরকারিভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে না। এখন যারা সরকারকে সহযোগিতা করবেন ভবিষ্যতে চালের সরকারি মূল্য যখন বেশি থাকবে; তখন এ সমস্ত মিল মালিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাসিক সমন্বয় সভার পর খাদ্যমন্ত্রী অনলাইনে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক এক সভায় যুক্ত হন।

সেখানে তিনি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এবং কাজের গতি বাড়াতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা থাকা দরকার। একটি কৌশলগত পরিকল্পনা, রোডম্যাপ থাকা দরকার। কোন কাজ কখন, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে সেখানে থাকতে হবে।

সভায় দেশের প্রতিটি বিভাগে ল্যাবরেটরি স্থাপনের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। পাঁচটি বিভাগে ল্যাবরেটরির একতলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।

খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের পরিচালনায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।

SCROLL FOR NEXT