বাণিজ্য

দেশে লবণের ঘাটতি নেই: বিসিক

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির মৌসুমে পশুর চামড়া সংরক্ষণের অন্যতম এই উপাদানের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হতে পারে ব্যবসায়ীদের শঙ্কার প্রেক্ষাপটে সরকারের এই বক্তব্য এলো।

সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট চাহিদা বাদ দিয়ে দেশে ১০ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ থাকবে।

পশুর চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত লবণের দাম বাড়ার খবর সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসেছে।

চামড়া ব্যবসায়ী বলছেন, গত মে মাসে উৎপাদনের মৌসুম শেষে আয়োডিন ছাড়া প্রতিবস্তা (৭৫) লবণ ৭০০-৭০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে লবণের দাম বস্তায় ২০০ টাকা বেড়ে গেছে।

দাম না কমলে চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত লবণ ব্যবহার করা সম্ভব হবে না বলছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে গেলবারের মতো এবারও চামড়া নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।   

চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, এবছর কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে প্রায় দুই লাখ টন লবণের প্রয়োজন হতে পারে।

মঙ্গলবার বিসিকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নির্বাহী মো. ছাকায়েতুল বারী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবারের মত এবারও গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়েছে। এই সাত মাসে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৪ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন।

আর গত বছরের আড়াই লাখ মেট্রিক টনসহ লবণের মোট মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিমাসে দেশে লবণের গড় চাহিদা এক লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। সে হিসাবে গত পাঁচ মাসে (মে-সেপ্টেম্বর ২০১৮) পর্যন্ত লবণের গড় চাহিদা দাঁড়ায় ছয় লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন।

এই পরিমাণ লবণ বাদ দিয়েও দেশে ১০ লাখ ৬৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মজুদ থাকছে বলে জানিয়েছে বিসিক।

 
SCROLL FOR NEXT