বাণিজ্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও সরগরম ইফতার বাজার

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাম্পাসের ভেতরে সারা বছর যেসব টং দোকানে হালকা খাবার পাওয়া যায়, সেই দোকানগুলোর সামনেই রোজার বিকালে ইফতারের নানা পদ সাজিয়ে রাখা হয়।

কলাভবন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে কয়েকটি ভ্যান ও টং দোকানে বিক্রি করা হয় ইফতারের সাধারণ পদগুলো। 

সেখানে ৫০ টাকায় মিলছে প্যাকেজ ইফতার, যাতে জিলাপি, খেঁজুর, চপ, বেগুনি, আপেল, সমুচা, ছোলা আর মুড়ি থাকছে।

জিয়া নামের এক দোকানি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথম রোজা থেকাই বিক্রি ভালো। রোজা বাড়লে বিক্রি আরও বাড়বে।” 

ডাকসুর পাশে নতুন হওয়া খাবার দোকান ‘ডিইউ কফি হাট’র ইফতারের দাম কিছুটা বেশি। চিকেন রোল, গ্রিল চিকেন, চিকেন চপ, সাসলিক, হালিম, ছোলা ভুনা, অনথন, বুন্দিয়া ইত্যাদি পাওয়া যায় ২০ টাকা থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে।

কফি হাটের দোকানি রানা বলেন, “ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে যারা বেড়াতে আসেন, তারাই মূলত এখান থেকে ইফতার নেন। ভালোই বিক্রি হচ্ছে।” 

ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদ এলাকায় ইফতারের জন্য অনুষদের ক্যাফেতে যেতে হয়, বাইরে ইফতারের কোনো ব্যবস্থা নেই। 

এছাড়াও টিএসসি চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট, হলগুলোর ক্যান্টিনে সাধারণ ইফতার পাওয়া যায় বেশ কম দামে। 

কার্জন হল এলাকায় ইফতার কিনতে যেতে হয় ঢাকা মেডিকেল গেইট অথবা পলাশী বাজারে। ছোলা, পেঁয়াজু, ডিম চপ, বেগুনি, জিলাপি, হালিম, নানা রকম ফল, ঘুগনি আর সালাদের সাথে বিভিন্ন আকারের বোতলে আম ও পেঁপের শরবত মেলে ইফতারের সব দোকানে। সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় দুই লিটার থেকে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রাখা হচ্ছে এসব বোতল প্রতি।

পলাশী বাজারে একটি ইফতারের দোকানের কর্মচারী আবদুল খালেক বলেন, “বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা ভার্সিটি সব মামারাই আসেন ইফতার কিনতে। গরমের দিন তার মধ্যে এত বড়, তাই শরবতের চাহিদা বেশি।”
SCROLL FOR NEXT