নাগরিক সংবাদ

ICETCESD2012-Online Discussion…আজকের বিষয়:জীববৈচিত্র্য or Biodiversity

Byসাঈদ তাশনিম মাহমুদ

শাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া International Conference এবং গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে সেই অনলাইন আলোচনা। চলুন এই আলোচসায় অংশ নিয়ে নিজের মতামতকে সিদ্ধান্তে পরিনত করি।
আজকের বিষয়:জীববৈচিত্র্য
এই লেখাটি তৈরী করেছেন।: মোঃ সাইফুল ইসলাম, ১৩তম ব্যাচ, সিইই বিভাগ, শাবিপ্রবি
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন মানুষের জীবন ব্যবস্থা এবং পরিবেশ। একটি মানুষের জীবন ব্যবস্থার জন্য পরিবেশটা খুব গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রাখে। এই পরিবেশটার কথা ভাবতে গেলে মনে পরে এর উপাদান গুলোর কথা। মানুষ তার পরিবেশের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। আমাদের এই বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। এই দেশে আর আগের মত নাই। আমার মনে হয় এই দেশ আগামী কয়েক দশক পর আর ষড় ঋতুর দেশ থাকবে না। আমাদের মত মানুষের কারণে এই দেশের জীব বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে।
আগে আমাদেরকে মাছে ভাতে বাঙালী বলা হত। কিন্তু এখন এই শব্দটা বললে মনে হই ভুল হবে।কারন আমরা আর আগের মত মাছ পাই না। আমাদের নদিতে মাছ নাই, বিলে মাছ নাই।এর অর্থ হল আমাদের যে Ecosystem ছিল তা আর আগের মত নাই। আমদের নদী গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের প্রাণীকুলে বৈচিত্র্যতা দেখা দিচ্ছে বা হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে শীতকালে আর আগের মত অথিতি পাখি আসেনা। এর কারন হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মতামত হল আমদের দেশে অথিতি পাখির শিকার এবং বিল ও নদী গুলো শুকিয়ে যাওয়া। আপনাদের প্রত্যেকের কাছে একটি প্রশ্ন আপনারা কি আগের মত ইলিশ মাছ খুঁজে পান? আর খুঁজে পেলেও এর দাম কেমন?
আমার মনে হয় ইলিশ মাছ এখন যাদের টাকা আছে তারাই খেতে পারবে। অন্যরা কেউ খেতে পারবে না। এর একমাত্র কারণ হিসেবে আমরা দেখতে পাই এদের জীবন বৈচিত্র্য এর পরিবর্তন।পৃথিবীব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এই জীব বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে।দিনে দিনে আমরা আমদের জীব বৈচিত্র্য হারাচ্ছি। আমাদের দেশকে বলা হয় নদীমাতৃক দেশ। কিন্তু আপনি যদি আপনার চোখ বন্ধ করে ছিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন অদূর ভবিষ্যৎ এই দেশকে হয়ত আর নদী মাতৃক দেশ নাও বলা হতে পারে। এর কারণ যদি আমরা খুঁজতে যাই তাহলে দেখতে পাবো আমাদের দেশের নদী গুলোর পানির প্রবাহ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।কমে যাচ্ছে বললে ভুল হবে।বরং কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর কারণ ও যদি খুঁজতে যাই তাহলে দেখতে পাবো আমার সোনার দেশ বাংলাদেশ এর মধ্যে দিয়ে যে সব নদী প্রবাহমান সেগুলোর প্রায় সব গুলতে আমার প্রতিবেশি দেশ ভারত খুব আদরের সহিত বাঁধ দিয়ে দিয়েছেন।
আর আমাদের মূর্খ বানিয়ে বলেছেন যে উনারা আমাদের পানি দিবে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের অন্তর দৃষ্টি দিয়ে দেখি তাহলে দেখতে পাবো উনারা আমাদের দেশকে বড় এক সাহারা মুরুভুমিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছেন। সম্প্রীতি নতুন আরেকটা বাঁধ দিতে যাচ্ছেন যা কিনা আমাদের দেশের জন্য এবং আমদের দেশের মানুষের জন্য অনেক বড় হুমকি স্বরূপ। শুধু মানুষের উপর নয় বরং আমাদের পরিবেশ তথা ecosystem এর উপর হুমকি স্বরূপ।এই যে এত কথা বললাম তার পিছনে একটাই কারণ হল আমাদের দেশের জীব বৈচিত্র্য দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমরা আমদের দেশের যে সৌন্দর্য ছিল দিনে দিনে তা হারিয়ে ফেলছি। এর থেকে যদি আমার দেশকে আর আমার দেশের মানুষকে বাঁচাতে চাই তাহলে আমাদেরকে এখনি সচেতন হতে হবে। এখানে উদাহরণ হিসেবে দুটি স্থানের নাম দেয়া হল। এর মধ্যে একটি হল আমাজান নদীর অববাহিকার দক্ষিণ অঞ্চল এবং আরেকটি হল কলোম্বিয়ার উত্তর অঞ্চল।যে দুটি স্থানকে Biodiverse area হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আমার মনে হয় একটু ভুল হল। এত দূরের উদাহরণ দেয়ার কি দরকার!! আমাদের পদ্মা নদীর দিকে তাকালেই তো হয়। সেই পদ্মা আর আগের পদ্মা নেই। আপনারা যদি খুলনা যাওয়ার সময় খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে অধিকাংশ বালি।এর অর্থ হল আমরা মাদের জীববৈচিত্র্য হারাতে শুরু করেছি। আর আমাদের প্রতিবেশি দেশ একটু সফল হয়েছে। আমাদের দেশের দক্ষিন অঞ্ছলে এখন গ্রীষ্মকালে পানি পেতে খুব কষ্ট হয়। এর অর্থ আমরা সহজেই বুজতে পারি আমদের দেশের যে বারোটা বেজে গেছে। যাই হোক এর থেকে উদ্ধার হতে হলে আমাদের কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।যেমনঃ
• Green house effect
• Ecosystem
• Climate change ইত্তাদি।
সর্বশেষ কথা হল আমদের এই দেশকে আমদেরই ভালবাসতে হবে।এর এতুতুকু ক্ষতি আমরা সহ্য করব না।কারণ এর ক্ষতি হলে আমদের ক্ষতি হবে।
ফেসবুকে আমাদের সাথে অংশ নিতে চাইলে চলে আসুন https://www.facebook.com/groups/234504209966916/

SCROLL FOR NEXT