নাগরিক সংবাদ

উষ্ণতার গল্প শোনো-২

Byডাঃ মাহবুব মোর্শেদ

২৭ জুন ছিল ব্রিটেনের উষ্ণতম দিন (এ বছরের জন্য )। মজার ব্যাপার হচ্ছে পরদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় বেশ গরম বোধ করছিলাম তাই শুধু শার্ট পরে গেলাম ( জ্যাকেট এবং ভেস্ট ছাড়া )। কিন্তু বিকেলে ঘরে ফেরার সময় দেখি ঠান্ডা লাগছে। একই দিনে একই স্থানে সকালে গরম এবং বিকেল বেলায় ঠান্ডা লাগা বোধ হয় ইংল্যান্ডেই সম্ভব। কিন্তু আবহাওয়ার এরকম পাগলামি আচরণ কেন ? বিগত কয়েক বছর ধরেই এ জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীতের সময় বরফে ঢেকে যাওয়া ( ইংল্যান্ডের জন্য স্বাভাবিক নয়) এবং সামারে কিছু দিনের জন্য হঠাৎ করেই অনেক গরম পড়া -এমনকি ইউরোপের গরম প্রধান দেশ স্পেন, গ্রিস এবং পর্তুগালের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা।

আবহাওয়া তে যে একটা পরিবর্তন ঘটেছে এটা সাধারণ মানুষও এখন বুঝতে পারছে। এদেশে বসবাসকারী মুরুব্বী স্থানীয় মানুষদের মুখে শুনেছি আগে তারা (৬০ এর দিকে) এদেশে সূর্যের মুখ কমই দেখতে পেত; অন্ধকার, প্যাঁচ প্যাঁচে বৃষ্টি এবং শীতের মধ্যে ওভার কোটে মুখ ঢেকে কাজে যেত এবং ফিরতোও অন্ধকারের মধ্যে। কথার মধ্যে অতিরঞ্জন যদি কিছুটা থেকেও থাকে তবুও সত্যতা যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই যে – পৃথিবী ক্রমশঃ উষ্ণ হচ্ছে অর্থাৎ মানুষের জন্মস্থান পৃথিবী নামের গ্রহটি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে – এক দীর্ঘ মেয়াদী জ্বরে। কিন্তু পৃথিবীর এ জ্বর মানুষ এবং জীব জগতের জন্য কী পরিণতি বয়ে আনবে ? ভাল না মন্দ ? কেমন হবে ১০-২০-৩০ বছর পরের পৃথিবী ?

SCROLL FOR NEXT