নাগরিক সংবাদ

হারিয়ে যায় সব কালান্তরে

Byসুলতান আশিক মাহমুদ

সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায় অনেক কিছু। এখন আলোচনার প্রসঙ্গ নাজিমুদ্দিন সামাদের প্রসঙ্গ নিয়ে। সে ফেসবুকে লেখালেখি করতো। ধর্ম ঈশ্বরের সমালোচনা করতো কি করতো না তাই এখন আলোচনার বিষয়। সে ব্লগ লিখতো কি না সেটাই মুখ্য আলোচনা। তার হত্যাকাণ্ড ও হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে আলোচনা নেহায়েত হয় না বললেই চলে। হত্যাকাণ্ড বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিবিসির কাছে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ব্লগে আপত্তিজনক লেখা লিখেছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন আছে"।

যাহোক নাজিমুদ্দিনের আগের প্রসঙ্গ ছিলো টাঙ্গাইলে বাসে ধর্ষণ। তার আগে ছিলো তনু হত্যা ও ধর্ষণ। যা কি না ভুলিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা হ্যাক হওয়ার প্রসঙ্গ। এভাবেই একটার পর একটা প্রসঙ্গ আসে আর হারিয়ে যায় পুরনো প্রসঙ্গ। তাই আমরা ভুলে গিয়েছি রানা প্লাজাকে, ভুলে গিয়েছি ডাক্তার শামারুফ হত্যাকাণ্ড, ভুলে গিয়েছি নারায়ণগঞ্জের সাত খুন। ভুলে গিয়েছি টাঙ্গাইলের মধুপুর জঙ্গলে ঘরে আটকে যে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো, যার চিকিৎসাসহ যাবতীয় দায়িত্ব বি এন পি নিয়েছিলো সেই প্রসঙ্গ। ভুলে গিয়েছি তুলসী রানীর কথা, ২০১৫ এর ২৮ অক্টোবর যার গর্ভের সন্তানকে লাথি মেরে ভূপাতিত করে হত্যা করেছিলো যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ড, অভিজিত হত্যাকাণ্ড, ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ড, নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ড আমাদের মনে নেই। ভুলে গিয়েছি সাগর রুনির কথাও।

আজকের ঘটনা আগামী কাল হয়ে যাবে অতীত। বিস্মৃতির খেলায় হারিয়ে যেতে থাকবে অতীত। আমাদের সমাজে কত কিছুই না ঘটছে। সব ভুলে যাই আমরা। নতুন প্রসঙ্গ নিয়ে মেতে উঠি। নতুন আলোচনা, নতুন গবেষণা। চলতে থাকে ক্ষমতার দম্ভ। দূর্বলরা পায় না বিচার। হয় সবলের সাথে আপোষ করে চলতে হয়, নাহয় হেরে যেতে হয় জীবনের খেলায়। এভাবেই চলছে, এভাবেই চলবে। এর আর নিস্তার মিলে না।

SCROLL FOR NEXT