নাগরিক সংবাদ

এই রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়েই বা আমরা কী করব?

Byমোঃ গালিব মেহেদী খান


আনসার উল্লাহ বাংলা টিম হোক কিংবা অন্য কোন গোষ্ঠী। যারাই এই ব্লগার হত্যা মিশনে নেমেছেন এটা তাদের জন্য অবশ্যই স্বস্তির খবর যে, এখন আর ব্লগারদের মৃত্যুতে অত বেশি তোলপাড় হচ্ছে না। কে জানে এর পরে হয়ত পত্রিকার প্রথম পাতার খবর হওয়ার যোগ্যতাও থাকবে না, এই সব ব্লগার হত্যার খবর!

প্রতিদিন কত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় সে সব এখন আর এ দেশে খবরের মধ্যে গণ্যই হয় না। আমরা যেমন জানতেও পারিনা আজ কতজন মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনার নামে হত্যা করা হল। ঠিক তেমনি একদিন জানতেও পারব না কোথায় কবে কোন ব্লগারকে হত্যা করা হল। আর জানলেই বা কি? এ তো প্রতিকার হীন এক অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা! এটা এখন মেনে নেয়ার মত একটি বিষয়! এ থেকে আমাদের নিস্তার নেই।

এই স্ট্যাটাসটিও যদি আমার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। যেখানে জীবনের মূল্য জগত সংসারের তাবৎ বিষয়াদির থেকেও তুচ্ছ। যেখানে যে কেউ যে কারো মৃত্যু পরোয়ানা জারী করার অধিকার প্রাপ্ত হয়। সেখানে অবলীলায় খুন হবে মানুষ; সেটাই তো স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হলো নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড না ঘটা।

যেখানে আমি আমার নিজের বিচার করতেই অপারগ সেখানে হত্যার স্বীকার আর হত্যাকারী কারো বিচারেরই ক্ষমতা আমার নেই। আর সে অনধিকার চর্চার নিমিত্তে আজ এখানে বসিওনি। প্রশ্ন একটাই, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে কারো প্রাণ দণ্ডাদেশ যে কেউ কি দিতে পারে? যদি পারেই তাহলে আর কেন এই রাষ্ট্রযন্ত্র?

আর যদি না পারে তাহলে কেন এভাবে একের পর এক প্রতিকারহীন হত্যাকাণ্ড? এই ব্যর্থ রাষ্ট্র যন্ত্র দিয়েই বা আমরা কী করব? যে রাষ্ট্রযন্ত্র তার নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এমনকি যেখানে বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে সেই রাষ্ট্র যন্ত্র থেকেই বা কী লাভ?

১২/৫/১৫

SCROLL FOR NEXT