নাগরিক সংবাদ

যদি ডিসিটি এই মর্মে সন্তুস্ট হন যে…

Byসুনীল আকাশ

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ -এর উপর যাদের কমবেশি পড়াশোনা আছে তারা অধ্যাদেশের ১৮৭ টি ধারার ভেতর অহরহই এই শব্দটির মুখোমুখি হন। ডিসিটি বা ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস ঠিক কখন বা কি করলে সন্তুস্ট হবেন তার কোন সংজ্ঞা বা আওতা কিন্তু আবার এই অধ্যাদেশ, এর বিধি, কোন এস.আর.ও বা পরিপত্রে উল্লেখ নেই। ফলে তৈরি হয়েছে অস্পস্টতা, তৈরি হয়েছে অসাধু করদাতার অসদুপায়ীতা আর সৎ করদাতার হয়রানীর সুযোগ। বর্তমান আইন অনুযায়ী এই শব্দগুচ্ছের প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা সম্পূর্নই ডিসিটির ব্যাক্তিগত সততা আর বিবেচনার উপর নির্ভর করে।

শোনা যায়, ডিসিটির অসন্তুস্টির কারনে অনেক করদাতা নির্ভূল ও পরিপূর্ন তথ্যসমৃদ্ধ রিটার্ন দাখিল করেও প্রদেয় করের চেয়ে বেশী কর দিতে বাধ্য হন, তাদের অনেক খরচই ছাড় পায়না। আবার ডিসিটিকে সন্তুস্ট করে অনেক করদাতা বিপুল পরিমান কর ফাঁকিও দিতে সক্ষম হন। ফলে সৎ করদাতাগন আর সৎ থাকতে উৎসাহী বোধ করেন না। আর এই সুযোগে অনেক কর কনসালটেন্ট কর ফাঁকির বুদ্ধি শিখিয়ে দিয়ে মোটা অংকের ফী কামিয়ে নিচ্ছেন। "সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ!"
ব্যক্তিগত সনতুস্টির এই জাল ছিন্ন না করা হলে বাংলাদেশের কর ব্যাবস্থার খুব বেশি যে উন্নতি হবেনা এবং করদাতাদের মধ্যে কখনই কর প্রদানের স্বত:স্ফুর্ততা সৃস্টি হবেনা এ ব্যাপারে আশা করি সবাই একমত হবেন।

SCROLL FOR NEXT