নাগরিক সংবাদ

এদেশে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হবেই

Byফাহমিদা আঁখি

একাত্তরে ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা করেছে পাকি সেনাবাহিনী আর ওদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামী জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র সংঘ (বর্তমানে, ইসলামি ছাত্র শিবির) । ওদের চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের অভ্যুদয় রুখে দেয়ার।

পারেনি। আমরা আজ স্বাধীন জাতি।

তেরতে ওরা আবারো শুরু করেছে হত্যা। একের পর এক। একাত্তরের মতোই নৃশংসভাবে।

দুই তিন দিন আগে ওদের হাতে খুন হয়েছেন একটি ব্যাংকের লিফটম্যান জাফর, যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে পোস্টার লাগানো ছিল, সেই পোস্টার ছিড়তে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। তখন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা তাকে পেটায়। এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করে জাফরের। হাসপাতালে নেয়ার পর দিন মারা যায় জাফর।

শুক্রবার পনেরই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ রাতের অন্ধকারে ওরা খুন করেছে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে, থাবা এবং থাবা বাবা- এই দুই নিক নিয়ে লিখতেন তিনি। একাত্তরের মতোই গলা কেটে জবাই করে তাকে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবির। তিনি লিখতেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে। লিখতেন জামায়াত-শিবিরের ভণ্ডামি আর নষ্টামির বয়ান। লিখতেন ওদের ধর্ম ব্যবসার কথা। ব্লগার ইমরানসহ যে ক'জন শাহবাগে প্রথমদিন আন্দোলন শুরু করেন, তাদের মধ্যে রাজীবও ছিলেন।

আরো অনেককে হয়ত প্রাণ দিতে হবে। কে কোথায় কথন নিহত হব জানিনা, তবে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। কয় জনকে হত্যা করবে ওরা? কয়জনকে? ওরা কি দেখেনি শাহবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ প্রাণ অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাত জাগছে? কয় জনকে মারবে ওরা, নিমক হারামের দল? আমরা আছি, থাকব। আমরা মরতে ভয় পাই না।

তোদেরকে নিষিদ্ধ করব মনে রাখিস। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সঙ্গে রাজীবের খুনীদের ফাঁসিতে লটকাব, জেনে রাখিস বেজন্মার দল!!

SCROLL FOR NEXT