নাগরিক সংবাদ

ফরমালিনমুক্ত বাজার কি ব্যবসায়ের নতুন কৌশল?

Byলিয়া সরকার

ফরমালিনের অপব্যবহার বহুল প্রচলিত হলে, প্রতিরোধে রয়েছে স্বদিচ্ছার অভাব। যে ফরমালিন গবেষণাগারে, চামড়া শিল্প, ঔষধ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যবহারের কথা, তা এখন আমাদের খাবারে চলে আসছে। মাছ, মাংস, সবজি ফলমূলসহ নানান খাদ্যে ফরমালিনে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সবাই অবগত। তারপরও আমাদের রক্ষাকর্তাগণ এ বিষয়ে মনোযোগী হছেন না।

এ পর্যন্ত ঢাকায় মোট ৮ টি বাজারকে ফরমালিন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব বাজারে পন্যের দাম বেশি, এ আবার নতুন অজুহাত। ক্রেতারাও বাধ্য বেশি দাম দিয়ে এ সব পন্য কিনতে । এসব পন্য বাজারে প্রবেশ মুখেই ফরমালিন মুক্ত কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এটাও নিয়মিত হয় না। অনেক সময় এসব পন্যে অল্প মাত্রারা ফরমালিনের অস্তিত্ব থাকে। গত বছর ২৫০ টন ফরমালিন আমদানি করা হয়েছে, যদিও প্রয়োজন ১০০ টন। গত ৩ বছরে ১১০০ টন ফরমালিন আমদানি করা হয়েছে ।

দেশে ফরমালিনের অবাধ আমদানি কেন? কি পরিমাণ , কেন আমদানি করা হবে, তার যথোপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আমদানির কথা থাকলেও বাস্তবে এ কথা কাগজে কলমেই আছে। ১ কেজি ফরমালিনের বাজার মূল্য ২৫০ টাকা। এত সহজ লভ্যতা ও সহজ প্রাপ্যতার কারনে ফরমালিনের ব্যবহার দিন কে দিন বেড়েই চলছে। আর এই সুপ্ত ঘাতকের মরণ ছোবলের ভুক্তভোগী হচ্ছে সকল ভোক্তা সাধারণ। এভাবে চলতে থাকলে দেশটা বিকলাঙ্গ হতে বেশী সময় লাগবে না।

রাজধানীর বাহিরে দেশের অন্যান্য স্থানে কিছু ফরমালিন মুক্ত বাজার রয়েছে। এই কচ্ছপ গতির পরিবর্তন করতে হবে। সরকারের উচিত সারা দেশে সকল বাজারে ফরমালিন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। আর একই সাথে তদারকি বাড়াতে হবে। যেন এটা ব্যবসায়ীদের ফায়দা লুটার নতুন কৌশল না হয়। খুব দ্রুত এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত। নৈতিকতা ভুলে কেন আমরা লাভের আশায় এ পথে চলছি। আমাদের উচিত এখনই সচেতন হওয়া। আমার, আপনার, সরকারের উপর নির্ভর করছে আমরা দেশটাকে কিভাবে দেখতে চাই ।

লিয়া সরকার ।

SCROLL FOR NEXT