বাংলাদেশ

ঢাকায় আইএস জঙ্গি সন্দেহে আটক ২

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, রোববার রাতে ওই দুইজনকে আটক করা হয়।

এরা হলেন- আমিনুল ইসলাম (৩৮) শাকিব বিন কামাল (৩০)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে এক ব্রিফিঙে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আটকদের মধ্যে আমিনুল বিএনপির সাবেক আঞ্চলিক সমন্বয়ক আর শাকিব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “উত্তরা পশ্চিম মডেল থানার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়ক এবং মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকা থেকে দুইজনকে আটকের সময় তাদের কাছে একটি ল্যাপটপ, ল্যাপটপ চার্জার, তিনটি মোবাইল ফোন ও সাতটি জিহাদী বই পাওয়া গেছে।”

ইরাক ও সিরিয়ার মতো গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের মাধ্যমে আইএসনির্দেশিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আটকরা ইন্টারনেটে কর্মী সংগ্রহ করছিল উল্লেখ করেন মনিরুল।

ইরাকের উত্তরাঞ্চল ও সিরিয়ার কিছু এলাকার দখল নিয়ে ‘ইসলামি খেলাফত’ নামের নতুন রাষ্ট্র গঠন করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।দুই দেশে ইসলামিক স্টেট বাহিনী খুন, নির্যাতন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ নানা ভয়াবহ সহিংস তৎপরতা চালাচ্ছে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কর্মী সংগ্রহের তথ্য গণমাধ্যমে আসে। বাংলাদেশেও এর আগে আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহের কাজ করতেন তিনি ।

“সিরিয়ায় কথিত জিহাদে অংশ নেবে- এমন ২০ যুবক সংগ্রহ করতে পেরেছিল তারা। তাদেরই একজন শাকিব।

“আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তালিকাভুক্ত ২০ জনই স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান এবং তারা নিজস্ব অর্থায়নেই  সিরিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”

আটকরা নিজেদের মতাদর্শের বিরোধীদের হত্যারও পরিকল্পনা করছিল বলে জানান মনিরুল।

দেশের কোনো ধর্মভিত্তিক দল, ব্লগার হত্যা, কিংবা সাম্প্রতিকসময়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের হত্যার হুমকি দেয়ায় আটক দুইজনের সম্পৃক্ততা আছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হবে, বলেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শাহজাহান, ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

আমিনুল ও শাকিবকে ১০ দিনের হেফাজতে চেয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু ঢাকার মহানগর হাকিম তিন দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন।

দুজনের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করলেও শুনানি শেষে তা নাকচ করে দেন বিচারক।

SCROLL FOR NEXT