বাংলাদেশ

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আবারও সময়

Byআদালত প্রতিবেদক

বুধবার নির্ধারিত দিনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান আগামী ৭ জুন নতুন তারিখ রেখেছেন।

এদিকে এ মামলায় গত ২৭ জানুয়ারি হাই কোর্ট থেকে জামিন পাওয়া পলাশ রুদ্র পাল আদালতে হাজির না হওয়ায় এবং তার পক্ষে আদালতে  হাজির হওয়ার জন্য কোন সময় আবেদন না থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।

এদিন এ মামলার অপর জামিন পাওয়া আসামি তানভীর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। কারাগারে থাকা অবশিষ্ট আসামিদেরও আদালতে নিয়ে আসা হয়।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

র‌্যাবের ইনভেস্টিগেশন এবং ফরেনসিক উইংয়ের সহকারী পরিচালক (সহকারী পুলিশ সুপার) ওয়ারেছ আলী মিয়া আলোচিত এ হত্যা মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, এবার নিয়ে ৩৩ বার তারিখ রাখা হয়েছে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি।

এরপর তিন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলম ও র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জাফর উল্লাহর হাত ঘুরে বর্তমানে র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলী মিয়া মামলাটি তদন্ত করছেন।

মামলাটি দীর্ঘ সময় তদন্ত করেছেন র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জাফর উল্লাহ। কিন্তু কার্যকর কোন অগ্রগতি হয়নি এ মামলার তদন্তে।

আলোচিত ও স্পর্শকতার এ ঘটনার আট মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার থাকা পাঁচ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়।

এ ছাড়া ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া গত দুই বছরে মামলার তদন্তে আর কোনো অগ্রগতি নেই।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন তদন্ত কর্মকর্তার হাতে এসেছে।

SCROLL FOR NEXT