বাংলাদেশ

জোড়া খুন: ‘টাকার জন্য গলা কেটেছে গৃহকর্মীর ভাই’

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার শাহজাহানপুর থেকে মো. সাঈদ নামের ২০ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক ইমরানুল ইসলাম জানান।

তিনি জানান, দশ হাজার টাকা চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাঈদ ওই বাসার কর্ত্রী ও নিজের বোনের গলা কাটার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে উত্তর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী রওশন আরা বেগম এবং গৃহকর্মী কল্পনার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুল কুদ্দুস ১৯৯৪ সালে মারা যান। তাদের দুই মেয়ে ও তিন ছেলের সবাই বিদেশে থাকেন।

এ ঘটনায় বুধবার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রওশন আরার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন। সে সময় কল্পনার পরিচিতরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

উপপরিদর্শক ইমরানুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাঈদ এর আগেও ওই বাসায় যাওয়া-আসা করেছেন। রওশন আরাকে তিনি ‘নানু’ ডাকতেন।

ঘটনার দিন বন্ধু পারভেজকে নিয়ে সাঈদ ওই বাসায় গিয়ে রওশন আরার কাছে ১০ হাজার টাকা চান। রওশন টাকা না দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন সাঈদ। 

“সাঈদ বলেছে, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ‘নানু’ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে টেবিল থেকে ছুরি নিয়ে রওশন আরার গলায় চালিয়ে দেয়। কল্পনা এ ঘটনা দেখে ফেললে পাশের ঘরে নিয়ে তারও গলা কাটে সে।”

উত্তর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টির কাছে মহাসড়ক থেকে ৫০ গজের মতো দূরে তিনতলা ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গৃহকর্মীকে নিয়ে থাকতেন রওশন আরা। বাড়ির নিচ তলায় দুই ভাড়াটিয়া থাকেন।

SCROLL FOR NEXT