বাংলাদেশ

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা পুলিশ-বিজিবির

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল টানা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষা শুরুর দিন ২ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডাকায় সারাদেশে এই পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। 

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, সরকার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা দেবে। পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে থাকা বিজিবির পক্ষ থেকে শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানানো হয়েছে, তারাও পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তা দেবে।

বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, পরীক্ষার্থীরা যাতে কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে পারেন, সেজন্য তাদের টহল জোরদার হবে। কেউ নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য পরীক্ষা কেন্দ্র ঘিরে তাদের সতর্ক অবস্থান থাকবে।

গাড়ি পোড়ানো, বোমাবাজি ও ভাংচুরের মধ্যে চলমান অবরোধ-হরতালের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলে এলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রোববার জানাবে মন্ত্রণালয়।  

সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিতে যাচ্ছে। এই পরীক্ষা চলবে মাসজুড়ে।  

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক (ফাইল ছবি)

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক (ফাইল ছবি)

পুলিশ প্রধান শহীদুল হক বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নিতে ২০ দলের প্রতি আহ্বান জানান।  

“একজন নাগরিক হিসেবে, একজন পিতা হিসেবে অনুরোধ করছি, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই সময়টুকু হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করুন।”

অবরোধ-হরতালে নাশকতা ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান শহীদুল হক।

বর্তমানে চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো রাজনৈতিক নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।”

নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে ইতোমধ্যে পুলিশ-র‌্যাব পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

এদিকে দুপুরে আইজির সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সমন্বয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এসএসসি পরীক্ষা এবং মহাসড়কে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপায়। এছাড়া পণ্য ও যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার পর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

SCROLL FOR NEXT