বাংলাদেশ

এবার হেফাজতকে সমর্থন নীলুর

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবারের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী গ্রেপ্তার না হলে বুধবার এই জোট কুশপুতুল পোড়ানোর নতুন কর্মসূচি দিয়েছে।

হজ নিয়ে মন্তব্যের জেরে মন্ত্রিত্ব হারানো এই সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রোববার রাতে আকস্মিক দেশে ফেরার পরই তার গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার হরতাল দেয় এনডিএফ। অন্যদিকে বুধবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে বৃহস্পতিবার হরতালের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোট।

অবশ্য সকাল থেকেই সব ধরনের যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। জোটের কোনো নেতাকর্মীকেও দেখা যায়নি পিকেটিং করতে। রাজধানীর বাইরে সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলছে নির্বিঘ্নে।

ইউনিক পরিবহনের ব্যবস্থাপক আব্দুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের দূরপাল্লার বাসগুলো সঠিকভাবে চলছে। যাত্রাপথে কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েতুল্লাহ জানান, হরতালের কোনো প্রভাব দূরপাল্লার বাসে পড়েনি। সারাদেশে নির্বিঘ্নে বাস চলছে।

বুধবার বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক হিরণ মিয়া জানান, তিনি কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই সকাল ১১টায় ঢাকায় প্রবেশ করতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে নীলু দাবি করেন, “আমরা ‘ভয়তাল’ করিনি। শান্তিপূর্ণ ‘প্রতীকী হরতাল’ কর্মসূচি দিয়েছিলেন। তাতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আমাদের কর্মসূচি সফল হয়েছে।”

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এদিকে বেলা ১০টার দিকে পুরানা পল্টনের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এনডিএফ। সেটি প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন।

লতিফকে গ্রেপ্তারের আন্দোলনে হেফাজতকে সমর্থন দেওয়ার কথাও জানান নীলু।

এনডিএফ চেয়ারম্যান বলেন, “বুধবার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে। হেফাজতে ইসলামের বৃহস্পতিবারের হরতাল কর্মসূচিতেও আমরা নৈতিক সমর্থন ঘোষণা করছি। হেফাজতের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে নিয়মিত।”

এনডিএফ স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাই মন্ডলের দাবি, হরতালে মানুষের সক্রিয় সাড়া না মিললেও মনের সাড়া মিলেছে।

তিনি বলেন, “বড় রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল ডেকে প্রভাব ফেলতে পারে না। আমরা নতুন জোট অনেক প্রভাব ফেলতে পেরেছি তাদের মনে।”

প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে লেবার পার্টি, ইনসাফ পার্টি, স্বাধীনতা পার্টি, ন্যাপ ও এনপিপিসহ এনডিএফ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

SCROLL FOR NEXT