বাংলাদেশ

৩ সহযোগীসহ ফাতেমা রিমান্ডে

Byআদালত প্রতিবেদক

ফাতেমার সঙ্গে আটক তিনজনকেও দুই মামলায় পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মারুফ হোসেনের আদালত আবেদনের শুনানি শেষে তাদের এ হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেন।

আটকদের বিস্ফোরক দ্রব্য ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন পুলিশের  গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (দক্ষিণ) পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।

অন্য আসামিরা হলেন- আবদুল্লাহ  কাজী (৩০), মো. ইশারত আলী শেখ (৩২) ও মো. শওকত সরদার (৩০)।

মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান তাদের রিমান্ডে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে কথিত জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণে দুজন নিহত হওয়ার পর তাতে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানায় ভারতের গোয়েন্দারা।

এরপর ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নামার পর সন্দেহভাজন ১২ জনকে চিহ্নিত করে তাদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। তাতে সাজিদ ওরফে শেখ রহমাতুল্লাহ ওরফে বুরহান শেখের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এবং তার বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দায় বলে উল্লেখ করা হয়।

গত ৮ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাজিদকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ওই রাজ্যের পুলিশ।

রোববার তিন সহযোগীসহ ফাতেমাকে ঢাকার মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার‌্যালয়ে হাজির করে বলা হয়, গ্রেপ্তার এই নারী সাজিদের স্ত্রী। সাজিদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই সন্তানসহ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে এক আত্মীয়র বাসায় আত্মগোপন করেন তিনি।

রিমান্ড আবেদনে ফাতেমাকে বাংলাদেশের মহিলা জঙ্গি সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, তিনি স্বামীর সঙ্গে ভারতে অবস্থান করে গুলি চালনা, বোমা তৈরি ও বোমা হামলার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমানও বলেছেন, শিমুলিয়ায় একটি মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিতেন ফাতেমা।

ফাতেমা ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে কিছু জিহাদি বই, বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

ফাতেমার সঙ্গে তার ১৭ মাস বয়সী কন্যা শিশু মার্জিয়াও রয়েছে।

SCROLL FOR NEXT