বাংলাদেশ

মোশাররফের ঘুষের মামলায় বাপেক্স জিএমের সাক্ষ্য

Byআদালত প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার তার বক্তব্য শুনে ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম জেরার জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

কমিশনের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বেনু জানান, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তদন্ত করা রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা লয়েড স্কপ ও গ্রেগরি প্রাউস আগামী যেকোনো ধার্য তারিখে সাক্ষ্য দিতে আসবেন।

বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার পাশাপাশি কানাডা পুলিশও এই অভিযোগের তদন্ত করেছিল।

বাপেক্স মহাব্যবস্থাপকের আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলার বাদীসহ  চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

কানাডার কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেডের কাছ থেকে বিলাসবহুল টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি, রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২৩ হাজার ৮০৫ টাকা ও কানাডা আমেরিকা ভ্রমণ বাবদ ৫ লাখ কানাডিয়ান ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক সাহিদুর রহমান।

মামলায় বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাসের ক্রয়চুক্তি (জিপিএসএ) করতে  নাইকোকে সুবিধা দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফের কাছ থেকে ৯৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ড ক্রুজার জিপ ঘুষ হিসেবে নেন।

সে সময় নাইকো গ্যাসের মূল্য প্রতি হাজার ঘনফুট (এমসিএফ) ২.১৫ থেকে ২.৩৫ ডলার পর্যন্ত দাবি করেছিল। তখন এ সংক্রান্ত ক্রয় কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে।

ওই সময় ঘুষ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মোশাররফ হোসেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করেন। পরে  গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ হয় ১.৭৫ ডলার।

২০১২ সালের ২ অগাস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর বছরের ১১ অক্টোবর মোশাররফ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

SCROLL FOR NEXT