বাংলাদেশ

মুন্সীগঞ্জে একশ গ্রাম প্লাবিত

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বন্যা দুর্গত এলাকায় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় জেলায় ৬৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল ও বাঘরা, লৌহজংয়ের মেদিনীমন্ডল, হলদিয়া, কনকসার, কুমারভোগ, কলমা, গাঁওদিয়া সিরাজদিখানের চিত্রকোট, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও, হাসাইল-বানারী, কামারখারা, সদর উপজেলার শিলই, বাংলাবাজারসহ অনেক নতুন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে।

লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়ায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ৪৯টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ৮২৩ পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারিভাবে বন্যার্তদের মাঝে ৩২ টন চাল ও ২লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ভাঙনের মুখে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ব্যাহত হচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা লাঘবে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. কাজী শরিফুল আলম জানান, জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম পর্যাপ্ত ওষুধ নিয়ে দুর্গত এলাকায় মানুষের সেবা দিচ্ছে।

পানিবাহিত রোগের ওষুধ প্রতিটি উপজেলায় বাফার স্টক রাখা হয়েছে। এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

SCROLL FOR NEXT