বাংলাদেশ

১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার বিচারের গতিতে হতাশা

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হাশেম সোমবার চট্টগ্রাম আদালত ভবনে সাংবাদিকদের হতাশার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে সরকার বদল হলে এর বিচার আটকে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

তবে চাঞ্চল্যকর এই মামলা এগিয়ে নিতে সরকার আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী সব সময় মামলাটির ব্যাপারে খোঁজ রাখছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হাশেম জানান, মামলার অন্যতম আসামি ও বিএনপি নেতা স্থানীয় কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর (আমিন চেয়ারম্যান) আবেদনে উচ্চ আদালতের আদেশে তার বিচার স্থগিত হয়ে রয়েছে।

মামলার বাদি বিমল শীল এ বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানিয়েছেন। তিনি স্থগিতাদেশ বাতিলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন পিপি।

আমিন চেয়ারম্যান সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ভাই হওয়ায় ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর ঘটনা সংগঠিত হবার পরেও মামলার সঠিক তদন্ত হয়নি বলে দাবি করেন অ্যাডভোকেট হাশেম।

তিনি বলেন, “আমার ভয় হচ্ছে সামনে নির্বাচন। গত ১৫ মে থেকে এই পর্যন্ত বাদি আদালতে সাতবার সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং এখনো জেরা চলছে।”

বিচারক আন্তরিক হলে মামলা দ্রুত সম্পন্ন হবে মনে করেন পিপি হাশেম।

বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) হোসনে আরা বেগমের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।

মামলা বিচার আগামী নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়া উচিত বলে মনে করেন পিপি। এজন্য বিচারক আরো আন্তরিক হবেন বলে আশা করেন তিনি।

২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর বাঁশখালীর সাধনপুরে হিন্দু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে এই মামলায় বেশ কয়েকবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয় এবং এর অভিযোগপত্র দেয়া হয় চার বার।

সর্বশেষ গত ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয় এবং একই বছর ১২ সেপ্টম্বর মামলার অভিযোগ গঠন হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এই বছরের ১৯ এপ্রিল মামলার ধারা পরিবর্তন করে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

SCROLL FOR NEXT