বাংলাদেশ

সোয়াইন ফ্লু রোগী বাড়ছে

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, জুলাই ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) -- দেশে সোয়াইন ফ্লু'র রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার আরও একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইডিসিআর)।
এ নিয়ে দেশে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২২। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ১৯ জুন দেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু রোগী শনাক্ত করার কথা জানায়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এক জনের দেহে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস পাওযা যায়। গত সপ্তাহেও নতুন করে তিনজন আক্রান্ত হয়।
আইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সোমবার পরীক্ষা শেষে আরও একজনের দেশে সোয়াইন ফ্লুর ভাইরাস এইচ১এন১ এর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রোগীর বয়স সাড়ে চার বছর। সে দেশের ভিতরেই অন্য রোগীর মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।"
অধ্যাপক মাহমুদ জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এদের বয়স ২ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। তবে ২০-২২ বছর বয়ষী রোগীর সংখ্যাই বেশি। ১৭ জন রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন। ৫ জনের চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, ৯ জন দেশের ভিতরেই আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বিদেশ থেকে আসা রোগীর আত্মীয়স্বজন। ১৩ জন বিদেশ থেকে এ রোগের জীবানু বহন করে নিয়ে এসেছেন।
অধ্যাপক মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা যাত্রীদের দেহে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস এইচ১এন১ পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা যাত্রীর সংখ্যাই বেশি।
তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করতে দেশের সিভিল সার্জনদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশে গত মে মাসে মৌসুমী ফ্লুর বিস্তার বাড়লেও এখন কমেছে।
মৌসুমী ফ্লুর সঙ্গে সোয়াইন ফ্লুর মিশ্রণে নতুন ধরনের ফ্লুর উদ্ভব হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও মৌসুমী ফ্লুর প্রকোপ কমে যাওয়ায় শঙ্কা কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে দেশের তিনটি বিমানবন্দর (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট), দুটি সমুদ্রবন্দর (চট্টগ্রাম ও মংলা) এবং ১১টি স্থলবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি যাত্রীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ৮০ জনের বেশি যাত্রীর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসেবে, বিশ্বের ১২৫টি দেশ ও অঞ্চলে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ হাজারেরও বেশি। এতে মারা গেছেন ৪২৯জন। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ১৭০ জন। প্রথম উপদ্রুত দেশ মেক্সিকোতে মারা যায় ১১৯ জন।
গত ১১ জুন সোয়াইন ফ্লু-কে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, কাশি, কফ এ রোগের লক্ষণ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এইচ১এন১ নামের এ ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
যত্রতত্র কফ, থুথু না ফেলা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমআরএফ/এমআই/১৬৫২ ঘ.
SCROLL FOR NEXT