বাংলাদেশ

লকডাউনের চতুর্থ দিন ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫৬

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের এক বার্তায় বলা হয়, সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৫৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৬৪ জনকে করা হয়েছে মোট এক লাখ ১২ হাজার  ২০০ টাকা জরিমানা।

এছাড়া ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এদিন ৪৪৩টি গাড়িকে মোট ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম।

সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে এই দফার লকডাউন মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও অনেকেই বাইরে বের হয়ে গ্রেপ্তার ও জরিমানার মুখে পড়ছেন। গত শুক্রবার বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার পর প্রথম তিন দিনে যথাক্রমে ৪০৩, ৩৮৩ ও ৫৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এবারের এই লকডাউন চলবে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সময়ে ‘অতি জরুরি’ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া মানা। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আগেরবারের মতই আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ লকডাউনে ছিল দেশ। তখন ঢাকায় মোট ৯ হাজার ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৯৯ জনকে ৩৯ লাখ ১২ হাজার ৩৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল ওই ১৪ দিনে।

লকডাউনে 'অপ্রয়োজনে' ঘরের বাইরে বের হওয়া এবং বিধিনিষেধ ভাঙার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।

আর গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের (ডিএমপি অ্যাক্ট) কয়েকটি ধারায় হাকিমের সামনে হাজির করা হচ্ছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সোমবার সারাদেশে ১৮০টি টহল এবং ১৮৭টি চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে তারা। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণেও মত কর্মসূচিও চলছে।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাদাভাবে এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।

বিধি-নিষেধ অমান্য করায় সারাদেশব্যাপী পরিচালিত ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৬৪ জনকে এক লাখ ৭৭হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেছে এদিন।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে দেড় হাজারের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে; বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সরবরাহ করেছেন র‌্যাব সদস্যরা।

SCROLL FOR NEXT