ওই দুইজনের মধ্যে আবু সাকিব ওরফে আল আমি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য এবং আলী হাসান ওসামা নামে একজন ‘উগ্রবাদী বক্তা’ বলে পুলিশের ভাষ্য।
বুধবার ঢাকা ও রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার এ দুজনকে বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকার হাকিম আদালতে হাজি করা হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান।
শুনানি শেষে বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রেমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান, রিমান্ড শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (ইভেস্টিগেশন) উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম এর আগে জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর সংসদ ভবনের সামনে থেকে ‘তলোয়ার এবং কালো পতাকাসহ’ সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“সে জানায় উগ্রবাদী বক্তা আলী হাসান ওসামার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সে শহীদ হতে সংসদ ভবনে হামলার জন্য এসেছিল।”
এরপর বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে রাজবাড়ী থেকে ওসামা নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সাকিব সিরাজগঞ্জের একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র জানিয়ে উপ কমিশনার সাইফুল বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব বলেছে, ফেইসবুকে একটি গ্রুপ খুলে সংসদ ভবনে হামলার জন্য তলোয়ার এবং কলেমা লেখা পতাকা নিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলে সে।
“পরে কাল সন্ধ্যায় সে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে দেখে, কেউ নেই তার ডাকে সাড়া দিয়ে আসেনি।”
সাইফুল বলেন, আলী হাসান ওসামার বক্তব্যে ‘উদ্বুদ্ধ হয়েই’ সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ওই ফেইসবুক গ্রুপ খোলার কথা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন সাকিব।
“আর কারা এর সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করে বের করা হবে। গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।”