বাংলাদেশ

মানুষের বিচরণ বন্ধে পুলিশকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের মধ্যে ঢাকার আজিমপুরে এক ব্যক্তির কাছে কারণ জানতে চাইছেন এক পুলিশ সদস্য। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

এছাড়া যত্রতত্র ত্রাণ বিতরণ না করতেও নিষেধ করেছেন তিনি। ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি পুলিশের সহযোগিতাও নিতে বলেছেন।

শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর এ নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই অবস্থায় যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে না পড়ে, সে বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে।

“সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নাগরিকদের আহ্বান করা হয়েছিল, কিন্তু তা ঢিলেঢালাভাবে হচ্ছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। তাই নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে কমিশনারকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশের ৪৮ জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় ইতোমধ্যে গোটা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়। বিভিন্ন জেলা ও এলাকা অবরুদ্ধও করা হয়।

তবে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিদিন প্রত্যেকটি থানা থেকে খাবার দেওয়া হয় ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। শুক্রবার যাত্রাবাড়ি থানা থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার দেওয়ার পরও থানার বাইরে ছিল মানুষের ভিড়। ছোট, বড়, বৃদ্ধ সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু ছিল না কারও ভেতর করোনাভাইরাসের সচেতনতা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিদিন প্রত্যেকটি থানা থেকে খাবার দেওয়া হয় ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। শুক্রবার যাত্রাবাড়ি থানা থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার দেওয়ার পরও থানার বাইরে ছিল মানুষের ভিড়। ছোট, বড়, বৃদ্ধ সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু ছিল না কারও ভেতর করোনাভাইরাসের সচেতনতা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

পাশাপাশি লকডাউনের কারণে সঙ্কটে পড়ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ; তাদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আবার সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই একটি সিস্টেমের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হোক। ত্রাণ বিতরণের সময় অবশ্যই পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ আপু বলেন,প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণ ও উত্তরের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, শেখ বজলুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT