বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র দিতে এসে জাপানি দূত এ আগ্রহের কথা রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এবং বন্ধু দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।”
বর্তমানে জাপানের সহযোগিতায় মেট্রারেলসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথাও রাষ্ট্রপতি বৈঠকে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর বিনিময়ের জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্প্রসারণ ঘটেছে।
নতুন জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্বে গুরুত্ব দেয়। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
এর আগে জাপানি দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ট্রান ভান খোয়া এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, “আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাফল্যে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি ‘অনন্য উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে।
“রাষ্ট্রপতি এসময় বলেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ভিয়েতনামের স্বাধীনতার সংগ্রাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে।”
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের সহযোগিতা চান। আসিয়ানের বৈঠকে বিষয়টি তুলতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।