বাংলাদেশ

ঈদযাত্রার বাসে মশানাশক স্প্রে করার নির্দেশ

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

সোমবার সচিবালয়ে ‘আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উদযাপনে সড়ক পথে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা’ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এবারের ঈদযাত্রায় ডেঙ্গু জ্বর উদ্বেগ বাড়িয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন,“টার্মিনালসমূহে পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, মশক নির্মূলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে আমি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

“প্রতিটি বাস ছাড়ার পূর্সে বাসে মশা নাশক অ্যারোসল স্প্রে করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ এবং মালিক সমিতি ইতোমধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সভা করেছেন, পরিকল্পনা নিয়েছেন।”

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত কাজ ঈদের আগে অন্তত তিন দিন শেষ করার তাগিদ দিয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন,“দিবারাত্রি আমাদের লোকজনকে প্রস্তুত রাখতে হবে যাবে অতিরিক্ত কাজ করে মেরামত করা যায়, সে রকম নিশ্চয়তা দিতে হবে। কারণ জনগণ এমনিতেই একটা আতঙ্ক নিয়ে দেশের বাড়িতে যাচ্ছেন, সেখানে রাস্তার অবস্থাটা যদি পাসেবল না হয়, তাহলে দুর্ভোগটা হবে।

“১ আগস্ট থেহতে সারাদেশে সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে এবং ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে গার্মেন্ট, খাদ্যপণ্য, ওষুধ, পচনশীল দ্রব্য, পশুবাহী গাড়ি এর আওতামুক্ত থাকবে।”

বিজিএমইএর অনুরোধে পোশাক শ্রকিদের জন্য ১৫১টি বাসের মধ্যে চট্টগ্রামে ২০টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা প্রয়োজনে বাড়তে পারে বলে জানান মন্ত্রী।

“বিজিএমইএ তিন দিন পর্যায়ক্রমে ছুটি দেবেন। এতে রাস্তায় চাপ কম পড়বে। তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন, এটা আমি আশা করি।”

সড়কের পাশে পশুর হাট বসানোর ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নিয়মের বাইরে পশুর হাট যেন না বসে,  পশুর হাট নিয়ে যেন জনদুর্ভোগ না হয়, এসব বন্ধ করতে হবে যে কোনো মূল্যে।

“কোরবানির পশুবাহী যানবাহন ধীর গতিতে চলে। ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু বহন করলে যানজটের আরো ঝুঁকি বাড়ায়। ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু বহনের উৎস মুখ বন্ধ করা সমীচীন।”

প্রতি টার্মিনালে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট ও ভিজিল্যান্স টিম কার্যকর থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী বাস সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট ব্যবস্থা নেবে। কোরবানির ঈদ, এটা সেকরিফাইজের ঈদ, কাজেই আমি মালিকদেরকে ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানাচ্ছি।”

ঈদুল আযহা সামনে রেখে সড়ক পথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে মন্ত্রণালয় একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে এই কন্ট্রোল রুম ৬ আগস্ট হতে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন,“স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে হেলিকপ্টারও প্রস্তুত থাকবে এবারের ঈদে। পর্যাপ্ত রেকারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”  

ঈদ উপলক্ষে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

SCROLL FOR NEXT