বাংলাদেশ

হাই কোর্টে টাঙ্গাইলের সাংসদ রানার ফের জামিন আবেদন

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চের কার্যতালিকায় আবেদন দুটি থাকলেও শুনানি হয়নি।

ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর গত বছরের ১৩ এপ্রিল হাই কোর্ট থেকে জামিন পান রানা।  কিন্তু এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে স্থগিত হয়ে যায় রানার মুক্তি।

এরপর গত বছরের ১৯ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামিনের স্থগিতাদেশ চলমান রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে। হাই কোর্ট চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর রুল খারিজ করে দেয়।

এরপর নতুন করে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন সংসদ সদস্য রানা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “ফারুক হত্যা মামলায় ৫ সেপ্টেম্বর ও যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাই কোর্টে তিনি জামিন আবেদন করেন।”

রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন বলে জনান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই মামলায় সাংসদ রানাকে প্রধান আসামি করে এবং তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করে আদালত।

দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে সাংসদ রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

অন্যদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হলে পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।

এই মামলায় গ্রেপ্তার শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন সাংসদ রানার নির্দেশেই শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

SCROLL FOR NEXT