বাংলাদেশ

বিচারপতি জয়নুলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য চেয়েছে দুদক

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট) পাঠানো হয়েছে। এখনও তথ্য আসেনি। তবে তদন্ত পর্যায়ে অগ্রগতি রয়েছে।”

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যে জড়িত ছিলেন, তা সদ্য দেওয়া রায়ে উঠে এসেছে।

ওই হামলার তদন্ত তখন ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তখন বিচারপতি জয়নুলের নেতৃত্বাধীন এক সদস্যের তদন্ত কমিশনও গ্রেনেড হামলার পেছনে অন্য দেশের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিয়েছিল।

কিন্তু এই মামলার বিচারে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, খালেদার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তৎকালীন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে, তাদের সাজাও হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০১০ সালে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্তে নামে দুদক; ততদিনে আপিল বিভাগ থেকেও অবসরে যান এই বিচারক।

২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক নোটিস দিলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন বিচারপতি জয়নুল। তবে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর দুদকে তিনি এ সংক্রান্ত তথ্য জমা দেন।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে দুদক সুপ্রিম কোর্টের কাছে তার বিষয়ে তথ্য চাইলে তা নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সাবেক সহকর্মীর বিরুদ্ধে দুদকের এই তদন্তে আপত্তি জানান। তার ওই পদক্ষেপকে তদন্ত আটকানোর চেষ্টা বলে তখন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সংসদেও ক্ষোভ জানিয়েছিলেন।

পরে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি জয়নুল সম্পর্কিত বিভিন্ন নথিপত্র দুদককে দেয়। বিচারপতি জয়নুলও দুদকের কাছে তার ব্যাখ্যা দেন।

পরবর্তীতে গ্রেপ্তার ও হয়রানির আশঙ্কা থেকে বিচারপতি জয়নুল সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করলে গত বছরের ১০ জুলাই হাই কোর্ট তাকে এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া গ্রেপ্তার না করার আদেশ দেয়।

SCROLL FOR NEXT