বাংলাদেশ

মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত আরও তিনজন

Byনিউজ ডেস্ক

এর মধ্যে চট্টগ্রামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় দুইজনের নিহত হওয়ার খবর দিয়ে র‌্যাব বলেছে, ঘটনাস্থলে তারা পেয়েছে গাঁজা আর আগ্নেয়াস্ত্র।

আর কুমিল্লায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন মাদক মামলার এক আসামি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মে মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রায় প্রতি রাতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ নিহত হওয়ার খবর দিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ধরনের ঘটনায় গত দুই মাসে প্রায় দুইশ মানুষের মৃত্য হয়েছে।

আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুই মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমানের ভাষ্য।

নিহতদের একজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর এবং অন্যজনের ২৫ বলে জানালেও তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি র‌্যাব কর্মকর্তারা।

মিমতানুর রহমান বলেন, র‌্যাবের একটি টহল দল মতিঝর্ণা এলাকায় একটি মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দেয়।

“কিন্তু তারা গাড়ি না থামিয়ে র‌্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে ওই গাড়িতে দুইজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

মিমতানুর বলছেন, র‌্যাব সদস্যরা ওই মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৮৫ কেজি গাঁজা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে।

কুমিল্লা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাদক মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন হাসানপুর সরকারি কলেজের উল্টো দিকে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। 

নিহত খোরশেদ আলম (৪৮) দেবিদ্বার উপজেলার গংগানগর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। এলাকার মানুষ তাকে ‘কানা খোরশেদ’ নামে চেনে এবং তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশের ‘তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী’ খোরশেদ কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারে মাদকের চালান নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল হাসানপুর কলেজের কাছে মহাসড়কে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে।

“রাত দেড়টার দিকে খোরশেদের প্রাইভেটকার সেখানে এলে পুলিশ থামায়। কিন্তু তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে খোরশেদ গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।”

খোরশেদকে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীরের ভাষ্য।  

তিনি বলছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮০ কেজি গাঁজা এবং দুটি কার্তুজসহ একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে। প্রাইভেট কারটিও জব্দ করা হয়েছে। 

SCROLL FOR NEXT