বাংলাদেশ

সেনা ও ‘না’ ভোট চায় পিডিপি

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে ১৬ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে পিডিপির কো-চেয়ারম্যান নিলুফার পান্না কোরেশীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি অংশ নেন এই সংলাপে।

পিডিপির ১৬ দফা প্রস্তাবে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীকে ঐচ্ছিক ছুটি দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাহী প্রধান করে অপরাপর কমিশনার এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হতে পারে।

ওই সময় মন্ত্রী পরিষদ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং সেনা বাহিনীকে ম্যাজেস্ট্রিসি ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে।

শুধু জনসংখ্যা নয়, ভোটার সংখ্যা ও সংসদীয় এলাকার আয়তন বিবেচনায় সীমানা নির্ধারণের আইনি কাঠামো সংস্কার; দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার করা; ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করা; সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করা; একটি দলের একই প্রতীকে বার বার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান বাতিল করা; জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের পরিবর্তন আনা যায় কিনা বিষয়টি বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে পিডিপির পক্ষ থেকে।

এ পর্যন্ত ১৪টি দলের সঙ্গে মত বিনিময় করেছে ইসি। বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় গণফ্রন্ট, বিকাল ৩টায় গণফোরামের সঙ্গে সংলাপসূচি রয়েছে।

৪০টি নিবন্ধিত দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে অক্টোবরের মধ্যে সংলাপ শেষ করার কথা রয়েছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা এই সাংবিধানিক সংস্থাটির।

SCROLL FOR NEXT