বাংলাদেশ

বিসিএস পরীক্ষা ইংরেজিতেও নেওয়ার পরিকল্পনা

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার পিএসসির একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে এই পরিকল্পনার কথা জানান।  

২০১৬ সালে নিজের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রতিবেদন দিতে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “পিএসসি প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে বিসিএস পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।”

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের পরীক্ষায় প্রথমে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি (নৈব্যক্তিক) পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এরপর ক্যাডারভেদে ৯০০ থেকে ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের।

পিএসসি চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান, ২০০৬ সালে পিএসসি ১২ হাজার ৮৭৬ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে (২ হাজার ১৭২ জনকে ক্যাডার পোস্ট এবং ১০ হাজার ৭০৪ জনকে নন-ক্যাডার)।

২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৮৭৮কে (২৬ হাজার ১৯৩ জন ক্যাডার, ২০ হাজার ৬৮৫জনকে নন-ক্যাডার) নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি।

যোগ্য ও মেধাবীরা যাতে নিয়োগ পায়, তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষার উত্তরপত্র সঠিকভাবে মুল্যায়ন করার জন্য পিএসসিকে আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। প্রয়োজনে উত্তরপত্র পুনঃপরীক্ষার কথাও বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি পিএসসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শও দেন।

পিএসসি চেয়ারম্যান জানান, কমিশন সংক্রান্ত তিনটি আইন বাংলায় প্রণয়ণ করা হয়েছে। এছাড়া কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

SCROLL FOR NEXT