বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় কায়ান্টের উপকূলে আঘাত হানার ‘সম্ভাবনা কম’

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড়টি এখন পূর্ব-মধ‌্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে কিছুটা এগিয়েছে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস উদ্ধৃত করে দি হিন্দু জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উড়িষ‌্যা রাজ‌্যের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান এম মহাপাত্র বলেন, “এই ঘূর্ণিঝড়টির উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।”

২৯ অক্টোবর নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সানাউল হক খান আগেই বলেছিলেন, কায়ান্টের বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার সম্ভাবনা কম। এর সম্ভাব‌্য গতিপথ ভারতের দিকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বুধবার সন্ধ‌্যা ৬টায় ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শও রয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবারের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন‌্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

বুধবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এসময় দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

SCROLL FOR NEXT