বাংলাদেশ

অর্থ ‘আত্মসাৎ’: স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের ১২ জনকে তলব

Byআদালত প্রতিবেদক

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশিদ আলম আগামী ৭ অগাস্টের মধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলেছেন।

যাদেরকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- এহসান সোসাইটির সভাপতি আবু তাহের নাদভী, সহ-সভাপতি মশিউর রহমান, সাবেক সম্পাদক কাজী ফজলুল করীম, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শামসুদ্দিন জিয়া, সদস্য এ এন এম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর, রবিউল ইসলাম, রুহুল আমিন যশোরী, কাজী মিনহাজ উদ্দিন, ইমরান আলী, কাজী রবিউল ইসলাম।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীকেও তলব করা হয়েছে। তবে তার নাম জানা যায়নি।

মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে আটজনকে।

বাদীর আইনজীবী মো. মাহবুব আলম ভূইয়া মিলন জানান, আসামিরা মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ২ জুলাইয়ের মধ্যে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন।

এহসান সোসাইটি ঢাকার প্রগতি সরণীর গ-৩৭/১ বারিধারা ভিউয়ে অবস্থিত এবং এটি সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী নিবন্ধিত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মাইক্রোক্রেডিট রেগিুলেটরি অথরিটিতে নিবন্ধিত হওয়ার আবেদন করে।

এরপর ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর রেগুলেটরি অথরিটি একটি দল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও শাখা কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পায়। সে সময়ই আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।

এজাহারে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির কথা বলে আমানতকারীদের ১৬৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ১০০ টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন।

অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন আবেদন খারিজ করে দেয় অথরিটি। এর বিরুদ্ধে এহসান সোসাইটি রিভিউ করলে তাও বাতিল হয়ে যায়।

এরপর মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৪ সালের জুন মাসের মধ্যে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে বলে।

এর জবাবে আসামিরা জানান, ২০১৩ সালে মোট ছয় কিস্তিতে তারা ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ৩৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।

SCROLL FOR NEXT