বাংলাদেশ

স্মার্টকার্ড বিতরণের আগেই মেয়াদ বাড়ছে প্রকল্পের

Byমঈনুল হক চৌধুরী

আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহেন্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের আওতায় আগামী ১০ মাসের মধ্যে সাড়ে নয় কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। উৎপাদন শুরুর কথা ছিল অগাস্টেই।

তবে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের এই মহাপরিচালক দাবি করেন, “প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়ানো হবে না। এরই মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের কাজটিও ভালোভাবে করা যাবে।”

তিনি বলেন, “২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মেয়াদ বাড়াতে চাইছি। আশাকরি যৌক্তিক কারণে তা অনুমোদনও হবে। স্মার্টকার্ড তৈরির কার্যক্রমও শিগগির শুরু হবে। মেয়াদ বাড়লে বিতরণের সময়ও পাব বেশি।”

আগামী বছর জুনের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ করতে গেলে ‘একটু তাড়াহুড়া’ হয়ে যাবে বলেও মনে করেন সুলতানুজ্জামান।

এ বছরের জানুয়ারিতে স্মার্টকার্ড তৈরি ও বিতরণের বিষয়ে ফ্রান্সের একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ইসি। কিন্তু এখনো স্মার্টকার্ড উৎপাদন শুরু করতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবার হাতে তা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেন। এরই প্ররিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) মেয়াদ বাড়ানোর যৌক্তিকতা, দাতা সংস্থার অনুমোদন ও ব্যয় বাড়ানো হবে কি না তা জানতে চেয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আইএমইডির জবাব পাঠিয়েছেন।

দাতা সংস্থাকে অবহিত করে, কোনো ব্যয় না বাড়িয়ে এবং কাজের সুবিধার্থে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।

প্রকল্প পরিচালক সুলতানুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দাতা সংস্থার সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পটির চুক্তি হলেও আইনি জটিলতার কারণে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ছিল না। পরিকল্পনা কমিশন যৌক্তিকভাবে মেয়াদ বাড়াবে বলে আশা করেন এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “এখন প্রকল্পের কাজ সুচারুভাবে এগোচ্ছে। দাতা সংস্থাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কিছু শর্ত পূরণ করতে প্রথম দুই বছর কাজের অগ্রগতি ছিল না। শুরুটা বিলম্বে হলেও সবকিছু ভালোভাবে শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ আরো দেড় বছর বাড়াতে চাইছি আমরা।”

অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছিলেন, স্মার্টকার্ড পার্সোনালাইজেশনের ১০টি মেশিন এসে গেছে। আগারগাঁওয়ে প্রকল্প কার্যালয়ে একটি ও বাকিগুলো অস্থায়ীভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে স্থাপন করা হবে।

অগাস্টের শেষের দিকে স্মার্টকার্ড উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

SCROLL FOR NEXT