নির্বাচন ভবন।

|

ফাইল ছবি

)<div class="paragraphs"><p>নির্বাচন ভবন।</p></div>
বাংলাদেশ

সুষ্ঠু ভোট করতে ইসির কর্মপরিকল্পনা সংসদে জানালেন আইনমন্ত্রী

Byসংসদ প্রতিবেদক

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সংসদে তুলে ধরেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নে সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার তা সংসদকে জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

আনিসুল হক বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করাকে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। সেই চ‌্যালেঞ্জ উত্তরণে নেওয়া পদক্ষেপের মধ‌্যে সব দলের নির্বিঘ্ন প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের উপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২৯ জানুয়ারির মধ‌্যে সংসদ নির্বাচন করার বাধ‌্যবাধকতা থাকায় আগে থেকেই ‘দৃঢ়তার সঙ্গে’ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ইসি নিয়েছে বলে জানান তিনি।

দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ইসি স্বাধীন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন।

চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে সিদ্ধান্ত

  • সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনী প্রচার নির্বিঘ্নে করতে পারে সে বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা; সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলা না করা।

  • প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ।

  • নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া।

সংসদ অধিবেশন কক্ষ

নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা করে নির্বাচনে তারা যেন আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনাও দেবে ইসি।

  • ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন।

  • নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কোন বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।

  • গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন।

  • যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরে জন্য দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বিধিসম্মতভাবে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।

“নির্বাচনের ফলাফল যাতে সকল ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয় অর্থ্যাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সকল কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর প্রতি সমআচরণ, নির্বাচন কমিশনের অধিক সংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং-সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত কিংবানির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

SCROLL FOR NEXT