bdnews24

বন্যার্তদের পাশে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের ব্লগাররা

Byবিডিনিউজ২৪


কক্সবাজার, জুলাই ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কক্সবাজারে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগাররা।

শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০৬টি পরিবারকে তারা অর্থ সহায়তা ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগের মডারেটর আইরিন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে নগদ এক হাজার টাকা, জরুরি ওষুধ, মুড়ি, গুড়, মোমবাতি ও দিয়াশলাই দেওয়া হয়েছে।

ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকুর সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

এ সময় গিয়াস উদ্দিন জিকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্লগারদের কাছে তার ইউনিয়নের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, "নদীর পানি বেড়ে ঝিলংজা ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"

বাঁকখালী খালের নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রতিবছরই এখানে বন্যা হয় বলে জানান তিনি।

আইরিন জানান, ব্লগার সুলতান মির্জার একটি পোস্টে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার আহ্বান জানানো হলে অন্য ব্লগাররা তাতে সাড়া দেন। তাদের সহায়তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সুলতান মির্জা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করি তারা শুধু লেখার মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুঃখবোধ আটকে না রেখে অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা থেকে ব্লগে ওই পোষ্ট দিই। তাতে আমি সবার কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি।"

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব ভালো লেগেছে বলে জানান তিনি।

আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলে বন্যার্তদের মধ্যে সহায়তা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগের ব্লগার ডা. মনজুর মোরশেদ, হাসান বিপুল, শরৎ চৌধুরী, ইমন, সাঈদ আকিব ও সুলতান মির্জা বন্যার্তদের হাতে সহায়তার অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ মনজুরুল করিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নাগরিক সাংবাদিকতাকে সামনে রেখে ২০১১ সালের ১১ ফেব্র"য়ারি নতুন কলেবরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগের যাত্রা শুরু হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এইচএএইচ/এএইচ/জিএনএ/১৯৫৯ ঘ.

SCROLL FOR NEXT