বিশ্বে দৃষ্টান্তমূলক নগর গড়ার কাজ শুরু

আত্মপ্রত্যয়ী এক কমর্বীর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আতিকুল ইসলাম মাত্র ৯ মাস সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যে মহা কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। আবার মেয়র হতে পারলে ঢাকা উত্তর সিটিকে আধুনিক ও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে বিশ্বের দৃষ্টান্তমূলক শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2020, 04:48 PM
Updated : 30 Jan 2020, 04:48 PM

আতিকুল ইসলাম মনে করেন, কর্মের গতিই সার্বিক অগ্রগতি। কোনও এক ভোরে ঘুম থেকে উঠেই হয়তো দেখতে পাবো না সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।

কিন্তু আতিকুল ইসলামের নেওয়া পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তা যদি অব্যাহত থাকে তবে অবশ্যই এ নগর পৌঁছাবে তার স্বপ্নের ঠিকানায় এবং সারা বিশ্বের মাঝে দৃষ্টান্তমূলক এক শহরে পরিণত হবে। 

মেয়র হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে মাত্র ৯ মাস ২৩ দিন। এরমধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পার্ক সংস্কার, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য জায়গা তৈরি, সাইকেল লেন তৈরি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসনের কাজ শুরু করাসহ যে কর্মযজ্ঞ করেছেন তা অবর্ণনীয়।

যে শহর সবার, সে শহরকে স্বপ্নের নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে আতিকুল ইসলাম উত্তর জনপদের নাগরিকদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক বলিষ্ঠ রূপকার।

তবে একটি নগরীকে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়ন ও সেবার সুযোগ তৈরির জন্য নয় মাস খুবই অল্প সময়। তাই আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিজয়ী হতে পারলে মহাকর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন আতিকুল ইসলাম।

রাজধানী ঢাকাকে ‘সুস্থ, সচল ও আধুনিক’ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ‘ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট’, বায়ুদূষণ রোধে বিদ্যুতচালিত বাস নামানোসহ ৩৮টি প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনী ইশতেহার সাজিয়েছেন নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল। 

তার ভাষায়, “আমি মনে করি ৯ মাস মেয়র থাকার সময় যে কঠিন অনুশীলন করেছি, সেই কঠিন অনুশীলনটাকে আমি খেলার ভাষায় বলি ওয়ার্ম-আপ করেছি। ইনশাল্লাহ জনগণের ভোটে যদি নির্বাচিত হই, আমি মনে করি আগামী পাঁচ বছর সুন্দর টেস্ট খেলতে পারবো।”

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি একটি সুস্থ ঢাকা গড়তে হবে। সুস্থ ঢাকা বলতে, পযাপ্ত পার্ক থাকতে হবে, খেলার মাঠ থাকতে হবে। আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যে অনিয়ম সেটা ঠিক করতে হবে। আমরা কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো।

“আরেকটি হচ্ছে সেবা। এখনো কেন আমরা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে মুখোমুখি বসে ট্যাক্স দেব? কেন আমরা অনলাইনে কর দিতে পারি না! অনলাইনে ছয়মাসের মধ্যে হোল্ডিং, সিটি ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ট্যাক্স দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।”

 

মেয়র হিসাবে ৯ মাস ২৩ দিনের কর্মযজ্ঞ 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহাকাব্যিক যে ভাষণে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তির সংগ্রামে, সেই ঐতিহাসিক দিবস ৭ মার্চ আতিকুল ইসলামের অন্তরাত্মা থেকে উচ্চারিত ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ শ্লোগানে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থার অন্যতম প্রার্থী জনতার বিপুল সমর্থনে বিজয়ী হয়ে শপথ নেন।

ধীর-স্থির কিন্তু লক্ষ্যাভীমুখি আতিকুল ইসলাম সুস্থ-সচল-আধুনিক ঢাকা বিনির্মাণে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শপথ গ্রহণ করেন শেষে তার রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার উন্নয়নে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে সাজাতে নেমে পড়েন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন

 

ডেঙ্গুর প্রকোপ

দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরই শহড়জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গুর মারাত্মক প্রকোপ। কিন্তু নির্ভীক মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও দৃঢ় সংকল্প এবং জনগণের অংশগ্রহণে সে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অসুস্থতা সত্ত্বেও মেয়র আতিকুল ইসলাম কখনও ক্র্যাচ হাতে, কখনও বা হুইল চেয়ারে ছুটে গেছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চালানো হয়ছে চিরুনি অভিযান।

মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সংযোজন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার, ২টি ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে প্রজনন স্থানগুলো চিহ্নিত করে চালানো হয়েছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজও এগিয়ে চলেছে সমান তালে। সামনের দিনগুলোর মোকাবেলায় চলছে প্রস্তুতি। 

জলাবদ্ধতা নিরসন

গত কয়েক বছরে কালশী খাল থেকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে জনগণের ভোগান্তি ছিল অবর্ণনীয়। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়তো কালসীসহ মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের বাউনিয়া বাঁধ ও আশপাশের এলাকা।

জলবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কালশী সাংবাদিক এলাকার খাল থেকে কালশী ব্রিজ পযন্ত ১ হাজার ১১৮ মিটার দীর্ঘ পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। মেয়র আতিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে কালশী এলাকা এখন সম্পূর্ণ জলাবদ্ধতা মুক্ত। একইভাবে তিনি কসাইবাড়ি খাল, উত্তরা চার নম্বর সেক্টর, আশকোনা, বনানী মেইন রোড, সুতী খালসহ অন্যান্য এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েছেন। 

পার্ক সংস্কার

সকল শ্রেণি-পেশা ও বয়সের নারী পুরুষের খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও বিনোদনের জন্য ডিএনসিসির ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কারের কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টি পার্কের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড পার্ক ও বনানীতে শহীদ জায়ান পার্কের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া সংস্কার কাজ শেষে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর পার্কটি সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রায় আড়াই একর আয়তনের পার্কটিতে রোপিত হয়েছে ১০০ প্রজাতির গাছ, রাখা হয়েছে ৭৫০ মিটার ওয়াকওয়ে, আলাদা বাইসাইকেল লেইন, ক্রিকেট খেলার স্থানসহ উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট। 

পরিচ্ছনতা কর্মীদের আবাসন

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে গাবতলীতে ৪টি ১৫ তলা আবাসিক ভবন এবং একটি ৪ তলা বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে ৭৮৪টি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। 

নিরাপদ সড়ক

নিরাপদ সড়ক আজ আমাদের সকলের দাবি। নিরাপদ সড়ক বিনির্মাণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডার পাস, মিডিয়ানে ফেনসিং স্থাপন, রোড মার্কিং, জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার, ট্রাফিক সিগন্যাল ইত্যাদি স্থাপন করে আসছেন। এরপরও নগরীর রাস্তা, পথচারী ও গাড়ি চালকদের জন্য নিরাপদ করার প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মত রাজধানীর আসাদ এভিনিউর গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যাল।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরও ২০টি পুশ বাটন কাউন্টডাউন সিগন্যালসহ জেব্রা ক্রসিং স্থাপন করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।

সাইকেল লেইন 

দূষণমুক্ত নগরী গড়তে যানবাহন হিসেবে সাইকেলের কোন জুড়ি নেই। বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে মেয়র আতিকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আগারগাঁও এ চালু হতে যাচ্ছে নয় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ছয় ফুট প্রস্থ সাইকেল লেইন। 

নাগরিক সমস্যা সমাধানে ৩৩৩ হটলাইন

নাগরিক সমস্যা সমাধানে চালু হয়েছে হটলাইন। ডিএনসিসির সেবা সম্পর্কিত যেকোন অভিযোগ এখন ৩৩৩ কল করলেই এর সমাধান হয়ে যাবে। 

শিশুদের জন্য  

ইট পাথরের এই শহরে শিশুদের খেলাধুলার পর্যাপ্ত মাঠ নেই। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু এখন বিষণ্ণতায় ভোগে। এর মূল কারণ খেলাধুলা করতে না পাড়া। শিশুদের জন্য উজ্জল ভবিষ্যৎ উপহার দিতে উত্তরা সোনারগাঁও জনপথকে প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত গাড়িমুক্ত সড়ক হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে শিশুরা এখানে খেলাধুলা ও বিনোদনে মেতে উঠবে। 

উচ্ছেদ অভিযান

অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে ঢাকা শহরকে মুক্ত করার যে যুদ্ধ, সেটি কোন প্রকার বাঁধা গ্রাহ্য না করে এগিয়ে চলছে। উদ্ধার করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। নগরীতে পাথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জোরদার করা হয়েছে ফুটপাত ও সড়ক থেকে উচ্ছেদ অভিযান।

‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’- অন্তর্ভূক্তিমূলক এই স্লোগান নিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলামের যাত্রা শুরু হয়েছিল। একটি শহর কতটুকু অন্তর্ভূক্তিমূলক তা নির্ভর করে সেই শহরের মানুষ বিশেষ করে নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরা কতটুকু নিরাপদ তার উপর।

নারী পুরুষের সমতা বিধান এবং এ শহরকে নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হাতে নিয়েছে বিশেষ কর্মসূচী। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ অভিযোগ বাক্স। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যুক্ত হয়েছে “সিক্সটিন ডেইজ অব অ্যাকটিভিজম” শীর্ষক আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনের সাথে। 

সংস্কৃতি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ  

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যার মধ্যে অন্যতম উত্তরায় “বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ” নামে একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের কর্ম পরিচালনা। উল্লেখ্য উত্তরা জনপদে এটিই প্রথম কোনও সাংস্কৃতিক মুক্ত মঞ্চ। 

আত্মপ্রত্যয়ী কর্মবীর আতিকুল ইসলামের একান্ত মনের বিশ্বস্ত উচ্চারণ,

‘‘এ নগরকে সকলের বাসযোগ্য করে যাব আমি

নব প্রজন্মের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’’

ভবিষ্যৎ অঙ্গীকার

# পূনর্নির্বাচিত হলে রাজধানীর মানুষকে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সারাবছর মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হবে। সেজন্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা ওয়াসা, পার্শ্ববর্তী সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।

# ২০২১ সাল নাগাদ শুধু ঢাকা উত্তরের এলাকাতেই প্রতিদিন ৫ হাজার ২০০ টন বর্জ্য তৈরি হবে এবং ইনসিনারেশন (বর্জ্য পোড়ানো) ছাড়া এত বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রাজধানীর অদূরে আমিনবাজারে আরআরএফ (রিসোর্স রিকভারি ফ্যাসিলিটিজ) স্থাপনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য অপসারণ ও জ্বালানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।

# বায়ুদূষণ রোধে ঢাকার রাস্তায় বিদ্যুৎচালিত বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

# জনগণের চলাচল সুবিধার জন্য রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।

# এলাকাভিত্তিক পথচারীবান্ধব ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।

# যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

# নিরাপদ পথচারী পারাপার নিশ্চিত করতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যাল স্থাপন করা হবে।

# নগর পরিবহন ব্যবস্থায় ডিজিটাল ই-টিকেটিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

# স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে।

# বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাগরিকদের জন্য গণ-স্থাপনা এবং গণপরিবহন নিশ্চিতকরণ করা হবে।

#  রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ এবং নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্থানে স্বয়ংক্রিয় ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

# মিরপুরে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গায় বৃক্ষ ক্লিনিক ও পোষা প্রাণির ক্লিনিক করা হবে।

# আধুনিক পশু জবাইখানা করা হবে।

# রাজধানীবাসীর জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

# পাড়া উৎসব উদযাপন করা হবে।

# বস্তিবাসীদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরা করা হবে।

# এছাড়া নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, প্রতিটি স্থাপনায় ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ নির্মাণ করা হবে।