আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে সারাদেশে জনস্বাস্থ্য সেবায় যে পরিবর্তন হয়েছে তার একটি আদর্শ প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ।
Published : 23 Dec 2018, 06:57 PM
এ অঞ্চলে সরকারি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা যেমন বেড়েছে, সমানতালে এগিয়ে এসেছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারাও। সরকারিভাবে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ মানুষকে দিয়েছে অন্যরকম স্বস্তি।
স্বাস্থ্যসেবা জনমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করে চলেছেন কেরানীগঞ্জ থেকে (ঢাকা-৩) নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “দুই মাস মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। এসময় তিনি সেবার মান আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেরানীগঞ্জে আড়াই শ থেকে ৫০০ শয্যার একটি হাসপাতাল করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।”
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও চিকিৎসক মীর মোবারক হোসেন বলেন, “গত ১০ বছরে ধাপে ধাপে এ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবায় অনেক উন্নতি হয়েছে। ১০ বছর আগে এখানে কোনও কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল না। এখন ২০টি ক্লিনিক হয়েছে।
“উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নয়নের কাজ চলছে। এখানে নবজাতকের জন্মের জন্য সিজারিয়ান সেকশন ও নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি জেনারেল সার্জারি সুবিধা যুক্ত হয়েছে। ফলে রোগিরাও অনেক বেশি আসছেন। এবার গরমের মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ছয় শ রোগী সেবা নিয়েছেন।”
সাকুর হোসেন বলেন, কেরানীগঞ্জে মার্তৃত্বকালীন নারীদের সেবার বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্ব দেন নসরুল হামিদ বিপু এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখেন তিনি। এছাড়া বিনামূল্যের ওষুধ যেন মানুষের হাতে পৌঁছায়, সেটা নিশ্চিত করতে তার নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক পযবেক্ষণ করি আমরা।
স্বাস্থ্যখাতে ১০ বছরে কেরানীগঞ্জে অর্জন:
# কেরানীগঞ্জে ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন ৮০০ রও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।
# কেরানীগঞ্জে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
# কেরানীগঞ্জের হাসপাতালগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
# কেরানীগঞ্জে সরকারি হাসপাতালেই রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
# সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় যেসব ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় সেসব নারীদের হাসপাতাল থেকেই ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
# বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রতিদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
# উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল’ স্থাপন করা হবে।
# দুস্থ, এতিম ও অসহায় পথশিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য শিশুবিকাশ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
# প্রতিটি ইউনিয়নে আধুনিক চিকিৎসাসেবা দিতে প্রতিমাসে মেডিকেল ক্যাম্প করা হবে।
# গরীব ও অসহায় মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
# শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
# আধুনিক ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
# বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্যসেবায় উৎসাহিত করা হবে।